বাটলারের বীরোচিত সেঞ্চুরিতে ইতিহাস গড়ল ইংল্যান্ড

সিরিজ নিশ্চিত হয়েছিলো আগেই। গোটা সিরিজ জুড়েই দাপটের সাথে ম্যাচ জিতেছে ইংল্যান্ড। শেষ ম্যাচটি জিতলেই নতুন ইতিহাস গড়া হবে ইংলিশদের। চীরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো পাঁচ ম্যাচ সিরিজে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পাবে ইংল্যান্ড। এমন সমীকরণকে সামনে রেখে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নামে দুর্দান্ত ইংল্যান্ড। এক মঈন আলীর তোপেই মাত্র ২০৫ রানে গুটিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।

ফর্মের তুঙ্গে থাকা ইংল্যান্ডের জন্য এটা মামুলি সংগ্রহই বলা চলে। কিন্তু হোয়াইটওয়াশের ঘণ্টা শুনে বুঝি জেগে ওঠেছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বোলিং আক্রমণ। নতুন বলে আগুন ঝরালেন বিলি স্ট্যানলেক। কেন রিচার্ডসনসহ অন্য বোলাররাও করলেন লড়াই। ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে হারাল ১১৪ রানেই।

অস্ট্রেলিয়া তখন হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর সান্ত্বনার আশায়। কিন্তু বাটলারের মনে ছিল অন্য ভাবনা। ২৭ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ব্যাটিংয়ে এসেছিলো বাটলার। সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলে তিনি ছিলেন অদম্য। হয়তো মনে মনে পণ করেছেন আজ কাজটা আমাকেই করতে হবে। প্রত্যেক দিনতো আর টপ অর্ডাররা ভালো করবে না।

আদিল রশিদের সাথে নবম উইকেট জুটিতে করেন ৮১ রান। যেখানে বাটলারের ব্যাট থেকে এসেছে ৫১ রান। শেষের দিকে গিয়ে আবার নাটকীয়তা। জয় থেকে ১১ রান দূরে মার্কাস স্টয়নিসের বলে আউট রশিদ।

ক্যাচের সময় প্রান্ত বদল হয়েছিল। স্ট্রাইকে ফিরে বাটলার পরের বলেই দারুণ ছক্কায় স্পর্শ করেন সেঞ্চুরি। পরের ওভার অ্যাসটন অ্যাগারকে মেডেন দেন জ্যাক বল।

অবশেষে ৪৯তম ওভারের তৃতীয় বলে আসলো সেই মহেন্দ্রক্ষণ। কাভার ফিল্ডারের পাশ দিয়ে বল যখন ছুটছে সীমানায়, মাঝ উইকেটে মুষ্ঠিবদ্ধ হাত বাতাসে ছুঁড়ে লাফিয়ে উঠলেন জস বাটলার। যেন ছুঁতে চাইলেন আকাশ। তার ওই শট, তার ইনিংসে নতুন উচ্চতা স্পর্শ করল আসলে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটই। ওয়ানডে ইতিহাসের অন্যতম সেরা এক ইনিংস খেলে দলকে জেতালেন বাটলার। অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করল ইংল্যান্ড। উল্লাসে ফেটে পড়ে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের টইটম্বুর গ্যালারি।