রেফারির দুই সিদ্ধান্তের পুনর্মূল্যায়ন চায় ব্রাজিল

বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো যুক্ত হয়েছে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর)। শুরু থেকেই এ প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কীভাবে ভিএআর চাইতে হবে কিংবা কোন কোন ক্ষেত্রে চাওয়া যাবে, ভিএআর নিতে হলে সঠিক প্রক্রিয়াই বা কী? এসব নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়ে গেছে এরইমধ্যে। যদিও কোনো কোনো দল সুফলও পেয়েছে এটির।

তবে, ভিএআর নিয়ে বিতর্কে সবশেষ যোগ দিয়েছে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সফলতম দল ব্রাজিল। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ভিএআরের ব্যবহার নিয়ে জবাব চেয়ে ফিফার কাছে চিঠিও দিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনস। ওই ম্যাচে কীভাবে ভিএআর ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি জানতে চেয়েছে সম্পর্কে জানতে চেয়েছে সিবিএফ।

তদের মতে, সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ২টি সিদ্ধান্তে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারতেন রেফারি। কিন্তু সিদ্ধান্তগুলো তিনি নিয়েছেন নিজের মতো করে!

চাইলেই রেফারি এর সাহায্য নিতে পারেন, কিন্তু ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচে মেক্সিকান রেফারি চেসার রামোস প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন অনুভব করেননি! তাতেই ক্ষেপেছে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনস।

ব্রাজিলের প্রথম আপত্তি সুইজারল্যান্ডের গোল নিয়ে। ম্যাচের ৫০ মিনিটে ‍সুইজারল্যান্ডকে সমতায় ফেরান স্টিভেন জুভের। জাদরান শাকিরির নেওয়া কর্নার কিক থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন জুভের। কিন্তু হেড নেওয়ার আগে ব্রাজিলের ডিফেন্ডার মিরান্ডাকে ধাক্কা দিয়ে সামনে থেকে সরিয়ে নেন জুভের। আনমার্ক হয়ে যাওয়ায় গোল করতে সমস্যা হয়নি জুভেরের।

দ্বিতীয় আপত্তিটি ম্যাচের ৭৩ মিনিটের একটি সিদ্ধান্তে। নেইমারের বাড়ানো পাসে বল নিয়ে ডি বক্সে ঢোকেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস। তাকে আটকে রাখেন আকিনঝি। এক পর্যায়ে পড়েও যান জেসুস। নিশ্চিত ফাউল চোখ এড়িয়ে যায় রেফারি চেসার রামোসের। ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা ভিএআর প্রযুক্তির আবেদন করলেও তা নাকচ করে দেন রেফারি।

ইএসপিএনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনস দুটি সিদ্ধান্তের পুনর্মূল্যায়ন জন্য ফিফার কাছে আবেদন করেছে এবং ভিএআর প্রযুক্তি ব্যবহার করেই তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা জানিয়েছে।

একইসঙ্গে তারা আবেদন জানিয়েছে, ‘ম্যাচের সময় রেফারিরা কী করে তার সবকিছুই যেন ভিডিও এবং অডিও রেকর্ড করা হয়। তাহলে পরবর্তীতে এ বিষয়ে অনেক কিছুই স্বচ্ছ হয়ে যাবে সবার সামনে।’