আলাদা ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরে পৌঁছালেন কিমের বোন

উত্তর কোরিয়ার উচ্চ-প্রতিনিধিদল বহনকারী তৃতীয় একটি বিমান সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। এই বিমানটিতে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং।

সিঙ্গাপুরের দৈনিক দ্য স্ট্রেইটস টাইমস এক প্রতিবেদনে বলছে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোনকে বহনকারী তৃতীয় একটি বিমান সিঙ্গাপুরে পৌঁছেছে। রোববার স্থানীয সময় বিকেল পৌনে ৪টায় কিম ইয়ো জংকে বহনকারী বিমানটি চাঙ্গি বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।

এর আগে কিম জং উন এয়ার চায়নার একটি বিমানে করে দুপুর আড়াইটায় সিঙ্গাপুরে পৌঁছান। সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণ উত্তর কোরিয়ার এ নেতাকে চাঙ্গি বিমাবন্দরে স্বাগত জানান।

এদিকে, কানাডায় জি-৭ বৈঠক শেষে ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুরের পথে যাত্রা শুরু করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী এয়ারফোর্স-ওয়ান বিমান। ট্রাম্পকে বহনকারী এ বিমান রোববার সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন : দু’দিন আগেই সিঙ্গাপুরে পৌঁছালেন কিম জং উন

মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের সেন্তাসা দ্বীপের ক্যাপেল্লা হোটেলে বহুল কাঙ্ক্ষিত বৈঠকে মিলিত হবেন এ দুই নেতা। বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিনিময়ে অর্থনৈতিক সহায়তার ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে।

সিঙ্গাপুরের সংবাদমাধ্যম চ্যানেল নিউজ এশিয়া বলছে, ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে কিমকে বহনকারী গাড়িবহর চাঙ্গি এয়ারপোর্ট ত্যাগ করেছে।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সেন্তাসা দ্বীপের সেন্ট রেজিস হোটেলে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শাংগ্রি লা হোটেলে অবস্থান করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেন্তাসা দ্বীপকে ইতোমধ্যে স্পেশাল ইভেন্ট এরিয়া ঘোষণা করে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেছে সিঙ্গাপুর।

চিরবৈরী দুই রাষ্ট্র প্রধানের সম্মেলনের আগে কোরীয় উপদ্বীপে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। কয়েক দশক ধরে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে আসছে উত্তর কোরিয়া। গত বছর দেশটি শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালায়; যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাণকেন্দ্রে আঘাত হানতে সক্ষম বলে হুমকি দেয় পিয়ংইয়ং।

আরও পড়ুন : কিমকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন ট্রাম্প

অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ চাপপ্রয়োগের মাঝেও পরপর বেশ কয়েকটি পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এমনকি দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

তবে নতুন বছরের এক ভাষণে শান্তি বার্তা শোনান উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। চলতি বছরের শুরুর দিকে দেয়া ওই ভাষণে তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়া কাঙ্ক্ষিত পারমাণবিক অস্ত্র মজুদের লক্ষ্যে পৌঁছেছে। এখন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে মনযোগ দেয়া হবে। ওই সময়ই তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠানের ইঙ্গিত দেন।