খুলে দেওয়া হলো বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ভেন্যু

প্রায় ৮০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন লুঝনিকি স্টেডিয়াম রাশিয়া বিশ্বকাপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভেন্যু। বছরখানেক আগে শেষ হয়েছে এ স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ। প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন ইউরো ব্যয়ে সংস্কার হওয়া এ স্টেডিয়ামে আর মাত্র পাঁচ দিন পর পর্দা উঠবে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ বিশ্বকাপ ফুটবলের। উদ্বোধনী ম্যাচ, একটি সেমিফাইনাল ও ফাইনালসহ মোট ৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এ স্টেডিয়ামে। মস্কোর খামোভনিকি জেলার এ স্টেডিয়ামটি আসলে লুঝনিকি অলিম্পিক কমপ্লেক্সের একটি অংশ। বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে গতকালই (শনিবার) স্টেডিয়ামটি উম্মুক্ত করা হয় মিডিয়াকর্মীদের জন্য। খুলে দেয়া হয়েছে মিডিয়া সেন্টার। ১৪ জুন স্বাগতিক রাশিয়া ও এশিয়ার দেশ সৌদি আরবের ম্যাচ দিয়ে এখানে পর্দা উঠবে ২১তম বিশ্বকাপ আসরের। উদ্বোধনী ম্যাচের আগে আছে উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা। স্বাভাবিকভাবেই এ স্টেডিয়াম সাজবে অন্য ১১ স্টেডিয়ামের চেয়ে আলাদা ও আকর্ষণীয়ভাবে। সে প্রস্তুতিই চলছে ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ এ স্টেডিয়ামে। শুক্রবার স্টেডিয়াম এলাকায় এসেও ভালো করে দেখা হয়নি বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা এ ভেন্যুটি। স্টেডিয়াম ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি না থাকায় এবং প্রচুর বৃষ্টির কারণে দর্শনার্থীরা একটু দূর থেকেই পরখ করেছেন উদ্বোধনী ও ফাইনাল ম্যাচের ভেন্যুটি। গতকাল শনিবার স্টেডিয়াম চত্ত্বরে প্রবেশ করে দেখা গেলো এখনো বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে এখানে। স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকের দুই পাশে নানা কারুকাজে ব্যস্ত শ্রমিকরা। শতশত মানুষের কর্মব্যস্ততা এবং নানা যন্ত্রপাতির শব্দ জানান দিচ্ছে দর্শকদের চমৎকার কিছু উপহার দিতেই তৈরি হচ্ছে লুঝনিকি স্টেডিয়াম। বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে লুঝনিকি স্টেডিয়ামের নামটি অতি পরিচিত। বিশেষ করে ১৯৮০ সালের মস্কো অলিম্পিকের উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে ব্যপক পরিচিত পেয়েছিল ৬২ বছর আগে নির্মিত এ স্টেডিয়ামটি। দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির লেনিনের নামেই প্রথম নামকরণ করা হয়েছিল এ স্টেডিয়ামের। ১৯৯২ সালের পর স্টেডিয়ামের নাম হয় ‘লুঝনিকি’। মস্কোভো নদীর বাঁকে জন্মানো সুগভীর তৃণক্ষেত্র থেকে ‘লুঝনিকি’ নামটির উৎপত্তি।