শচীনের ছেলেকে নিয়ে সমালোচনার ঝড়

অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ডাক পেয়েছেন। তাতে কি! কিন্তু তিনি তো অন্য সবার চেয়ে আলাদা, কিংবদন্তির পুত্র বলে কথা। তাইতো প্রথম বারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ডাক পাওয়ার পর থেকেই আলোচনায় শচীনপুত্র অর্জুন টেন্ডুলকার। আলোচনা ছাড়িয়ে সামালোচনাটাই বেশি।

আগামী জুলাই মাসে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দল। সফরে দু’টি চার দিনের ম্যাচ এবং পাঁচটি একদিনের ম্যাচ খেলবে ভারতীয় যুবারা। অর্জুন অবশ্য কেবল চার দিনের ম্যাচের জন্যই ১৫ সদস্যের দলে ঠাঁই পেয়েছেন। অনেকের মতে অর্জুনের দলে জায়গা পাওয়ার প্রধান কারণ স্বজনপ্রীতি। তার উপরে সন্দেহের দানাটা আরও বেশি বেড়েছে কোচ দ্রাবিড়ের কারণে। শচীনের দীর্ঘদিনের সতীর্থ-বন্ধু দ্রাবিড় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ।

ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তদের মতে বলিউডের মতো ভারতীয় ক্রিকেটেও এখন স্বজনপ্রীতি শুরু হয়েছে।

কোচবিহার ট্রফিতে পাঁচ ম্যাচে ১৮ উইকেট পেয়েছে অর্জুন টেন্ডুলকার। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে ৯৫ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন শচীন পুত্র। এমন চমকপ্রদ পারফরম্যান্সের জন্যই দলে ডাক পেয়েছেন তিনি। হিমাচল প্রদেশের আয়ুশ জামওয়াল কোচবিহার ট্রফিতে ৫০ উইকেট পেয়েছিলেন। তার পরও অনূর্ধ্ব-১৯ দলে সুযোগ পাননি তিনি। ১৮ উইকেট পেয়ে তবে অর্জুন কী করে দলে ডাক পেয়ে গেলেন? বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করে সেখান থেকেই।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের নির্দেশ ছিল, ১৯ বছরের বেশি বয়সী কোনো ক্রিকেটারকে দলে নেয়া যাবে না। সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার পারফর্ম করলেও নয়। আয়ুশের বয়স ১৯ বছরের গণ্ডি পেরিয়েছে ক’দিন আগে।

বির্তক এখানেই থেমে নেই। কোচবিহার ট্রফিতে ৩৩ উইকেট পেয়েও কেন অজয় দেব দলে জায়গা পেল না। এটা নিয়েও নানা মহলে শুরু হয় সমালোচনা। তবে কি শচীন পুত্র বলেই দলে জায়গা পেলেন অর্জুন?

এ ব্যাপারে বিসিসিআইয়ের নির্বাচক প্যানেলের ব্যাখ্যা,‘ অর্জুন একজন আদর্শ ফাস্ট বোলার এবং ভালো অলরাউন্ডার। অন্যদিকে অজয় দেব অলরাউন্ডার হলেও সে স্পিনার। দ্রুত গতির বোলারদের মধ্যে একমাত্র অর্জুনই ১৫ উইকেটের উপরে পেয়েছে। যাদের বয়স ১৯-এর নিচে।’ স্বজনপ্রীতির কথা উড়িয়ে দিয়ে তারা বলেন,‘ পেস অলরাউন্ডার বিবেচনায় অর্জুনকে দলে রাখা।পারফরম্যান্স করেই অর্জুনকে দলে থাকতে হবে।’

এখন দেখার বিষয় শ্রীলঙ্কায় সকল সমালোচনার জবাব ব্যাটে-বলে দিতে পারে কিনা শচীন পুত্র।