ম্যাসিডোনিয়ার বিরোধীদল ভিএমআরও-ডিপিএমএনই’র হাজারো সমর্থক দেশটির নাম পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ও আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে। শনিবার দলে দলে রাস্তায় নেমে আসে তারা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী জোরান জায়েভ, দেশটির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে সদস্যভুক্ত হওয়ার প্রতিশ্রুতি করেছিলেন। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ ও ইইউ-সদস্য গ্রিস সেখানে বাধার সৃষ্টি করছে। ‘ম্যাসিডোনিয়া’ নামটি নিয়ে আপত্তি তুলেছে গ্রিস।
২৭ বছর ধরে নাম নিয়ে ম্যাসিডোনিয়ার সঙ্গে গ্রিসের বিবাদ চলছে৷ কারণ, গ্রিসের উত্তরাঞ্চলে একটি প্রদেশের নামও ম্যাসিডোনিয়া৷ গ্রিসের আশঙ্কা, নামের মিল থাকায় তা থেকে সীমান্ত সমস্যা তৈরি হতে পারে৷
গ্রিসের আপত্তি সত্ত্বেও এই দেশ ‘ফর্মার যুগোস্লাভ রিপাবলিক অফ ম্যাসিডোনিয়া’ নামে ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘে যোগ দিয়েছিল৷ এই বিবাদের জেরে ম্যাসিডোনিয়ার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর সদস্য হওয়ার লক্ষ্য বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে৷ নাম বিতর্কে গ্রিসের ইচ্ছেয় সায় না দিলে ভেটো দিতে পারে তারা৷ সে ক্ষেত্রে ম্যাসিডোনিয়া ইইউ’র সদস্য হতে পারবে না৷
প্রধানমন্ত্রী জায়েভ বলেছেন, গ্রীসের সঙ্গে এই এই বিবাদ নিষ্পত্তির শেষ পর্যায়ে রয়েছে৷ কিন্তু এখনি শুরু হয়েছে নাম পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ।
ভিএমআরও-ডিপিএমএনই দলের নেতা হরিস্তিজান মিকোস্কি বিক্ষোভে সামনের বছর আগাম নির্বাচনের আহবান জানান। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী অপূরণীয় ক্ষতি করবে। সেখান থেকে ফিরে আশা সম্ভব হবেনা।
নাম পরিবর্তন নিয়ে মিকোস্কি বলেন, তার দল কোনভাবেই সংবিধানের বিরুদ্ধে গিয়ে নাম পরিবর্তন করতে দেবেনা। নতুন নামে অবশ্যই ‘ম্যাসিডোনিয়া’ শব্দটি থাকবে৷ সম্ভাব্য নামগুলির মধ্যে ‘নিউ ম্যাসিডোনিয়া’ এবং ‘আপার ম্যাসিডোনিয়া’ নামগুলি আছে৷