প্রাকৃতিকভাবে তুরষ্ক একটি সুন্দর দেশ। তেমনি এদেশের নারীরাও তাদের সৌন্দর্যের দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে। তুরষ্কের কোনো নারীর চেহারা মনে করার চেষ্টা করলে চোখের সামনে ভেসে উঠবে, লম্বা নাক, সুন্দর ভাঁজহীন ত্বক, বড়-বড় চোখ আর শ্যাম-সুন্দর চুল।
এই দেশের মেয়েরা নিজের পছন্দকে প্রাধান্য দিতে পছন্দ করে। এতে তাদের ব্যক্তিত্ব ও চেহারায় আত্মবিশ্বাস প্রতিফলিত হয়। আপনি জানেনকি, তুর্কি মেয়েদের রূপচর্চার পাশাপাশি কিছু সিক্রেটও রয়েছে যা তাদেরকে নরম আর কোমল করে তোলে।
তুরস্কের বিভিন্ন অঞ্চলের মেয়েদের মধ্যে পরিস্কার ত্বকের মধ্যে রোদের মত সোনালি আভা দেখা যায়। এটি বংশ পরম্পরায় হয়ে থাকে। গোলাপ জল এদের সৌন্দর্য চর্চায় নিয়মিত অনুসঙ্গ। তুর্কি মেয়েরা ক্লিনজার হিসেবে গোলাপজল ব্যবহার করে থাকে। প্রাকৃতিক এই উপাদান ত্বক থেকে ময়লা ও তেল দূর করার পাশাপাশি পিচ ভারসাম্য ফিরে আনে। একই সঙ্গে ত্বক রাখে সতেজ ও সজীব। গোলাপজল সাধারণত দোকানে পাওয়া যায়। তবে অনেক তার্কিশ মেয়েরা তাদের নিজস্ব রেসিপিতে বাসায় গোলাপজল তৈরি করে থাকে।
ময়েশ্চারাইজিং- এর জন্য এরা মধু ব্যবহার করে থাকে।
এদের চোখ কালো, সবুজ ও নীল রঙের হয়। অন্যদিকে, ইস্তাম্বুল ও ইজমীরের মেয়েদের মধ্যে বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য দেখা যায় এবং আনাতোলিয়া প্রদেশের মেয়েদের গায়ের রং থাকে কিছুটা ডার্ক তবে তাদের গড়ন ও চুলের সৌন্দর্য হয় নজরকাড়া।
এই দেশের মেয়েরা ন্যাচারাল সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলতে মেকআপ করে থাকে তারা। তবে খুব ভারী মেকআপ করতে খুব একটা অভ্যন্ত নয় তারা। সাধারণত মিনিমাম ও ন্যাচারাল ত্বক ফুটিয়ে তুলতে দেখা যায়। এজন্য বেশিরভাগ অনুষ্ঠানের জন্য তুর্কি মেয়েরা সামান্য মাশকারা, আইলাইনার ও ব্রাশ ব্যবহার করে। চোখ সাজাতে মিশরীয় রীতি অনুসরণ করতেও দেখা যায়।
তবে দেশীয় রীতি অনুযায়ী জন্মদিনের মত অনুষ্ঠানে অনেক সময় ভারী মেকআপ করে তারা। তুরস্কের নারীরা চুল সাজাতে ভালোবাসে। সুস্থ, সুন্দর ঢেউখেলানো চুলের জন্য তাদের সৌন্দর্য আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায়। অধিকাংশ নারী চুলের যত্নে পার্লারে যায়।
পোশাক-পরিচ্ছেদের ব্যাপারে তার্কিশ নারীরা বেশ অভিজাত। সাধারণত ক্যাজুয়াল ও শালীন পোশাকেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে তারা। এছাড়া নেকলেস ও ইয়ারিংয়ের মত গয়নাও তাদের কাছে অনেক প্রিয়। তুর্কি মেয়েদের সৌন্দর্যের আরেকটি গোপন রহস্য হচ্ছে সুগারিং। এটি মূলত প্রাচীন মিসরের রূপচর্চার একটি বিশেষ পদ্ধতি, যা মূলত শরীরের অবাঞ্চিত লোম দূর করতে ব্যবহার করা হয়। এ পদ্ধতি খুব সহজ ও প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেই তৈরি করা যায়। তুরস্কের মেয়েরা নিয়মিতই এই রিমুভাল সুগারিং পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে।
দেশটির মেয়েদের সৌন্দর্যের আরেকটি কারণ হচ্ছে হাম্মাম বা তার্কিশ বাথ। বিশেষ পদ্ধতির এই গোসল তুরস্কে অনেক জনপ্রিয়। এর মাধ্যমে দেহ ও মনের সজীবতা পায় তুর্কি নারীরা। তুরস্কের নারীদের অন্যতম একটি সৌন্দর্য চর্চার উপায় হচ্ছে হ্যাজাল নাট অয়েল। এটি একধরণের বাদাম তেল, যা মূলত তুরস্কেই উৎপন্ন হয় বেশি। ভিটামিন ও ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ এই তেল নিজেদের রূপচর্চায় ব্যবহার করে থাকে তুর্কি মেয়েরা।
তুরস্কের মেয়েদের ডায়েট বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যার মাধ্যমে সুস্থ থাকার পাশাপাশি সৌন্দর্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে তারা।