ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হচ্ছে এমন গুজবে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবারও (২১ ডিসেম্বর) দেশের পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। এদিন সূচক ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। এর ফলে টানা ছয় কর্মদিবস পুঁজিবাজারে দরপতন হলো।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সকালে লেনদেনের শুরু থেকে বাজারে গুজব শুরু হয়, আজকে কমিশনের ফ্লোর প্রাইস নিয়ে মিটিং চলছে এবং ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হচ্ছে- এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে ব্রোকার হাউজগুলোতে। এজন্য শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রির চাপ বাড়তে থাকে। আর শেয়ার বিক্রির চাপে বড় দরপতনের মধ্যদিয়ে সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবস পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে।
এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ২৭ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৭৫ পয়েন্ট।
ফ্লোর প্রাইস নিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) কোনও সভা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বিষয়ে কোনো সভা হয়নি, ফ্লোর প্রাইস এই মুহূর্তে তুলে দেওয়া হবে না।
ডিএসইর তথ্য মতে, আজকে বাজারে ২৮৫টি প্রতিষ্ঠানের ৪ কোটি ৪৭ লাখ ৪৭ হাজার ১৮৬টি শেয়ার কেনা-বেচা হয়েছে। টাকার অংকে যার পরিমাণ ৩৩৩ কোটি ৫৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩২২ কোটি ৪১ লাখ ১৭ হাজার টাকা।
এদিন ডিএসইতে দাম বেড়েছে ৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। কমেছে ৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২৭ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৫৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৯৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল মুন্নু সিরামিকসের শেয়ার। দ্বিতীয় স্থানে ছিল ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। তৃতীয় স্থানে ছিল রয়েল টিউলিপ সি পার্লের শেয়ার।
এর পরের অবস্থানে ছিল যথাক্রমে মুন্নু অ্যাগ্রো অ্যান্ড জেনারেলি, বসুন্ধরা পেপার, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং অ্যান্ড স্টেশন, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, জেনেক্স ইনফোসেস, ওরিয়ন ইনফিউশন এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিটিউক্যালস লিমিটেড শেয়ার।
অপর বাজার সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের চেয়ে ৭৫ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৩০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৬১ লাখ ৯১ হাজার ৮৫২ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮ কোটি ৪০ লাখ ৯৫ হাজার ৮৯৬ টাকা।
এ বাজারে লেনদেন হওয়া ১৪১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭টির ও কমেছে ৫২টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৮২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।