বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করেছে। সেইসাথে নিজেদের পদ্ধতিতেও তা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের চেয়ে এবার বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমেছে। আইএমএফের পদ্ধতি অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ ২৩ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার। আগের সপ্তাহে যা ছিল ২৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পদ্ধতি অনুসারে, দেশে রিজার্ভ রয়েছে ২৯ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার। গত সপ্তাহে তা ছিল ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী, দেশের বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে প্রায় ৪ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।
এর আগে গত ১৩ জুলাই প্রথম আইএমএফের সূত্র মেনে রিজার্ভের পরিমাণ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেসময় বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন ছিল ২৩ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার।
ওই সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব হিসাব মতে, দেশে সঞ্চিত অর্থ ছিল ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে আইএমএফ। যার অন্যতম শর্ত ছিল বিপিএম-৬ ফর্মুলা মেনে বাংলাদেশ ব্যাংককে রিজার্ভ গণনা করতে হবে।
সেই হিসাব ধরে চলতি বছরের জুনে দেশের আসল রিজার্ভ প্রকাশ করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। তবে জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে সেই শর্তের আলোকে সেটা প্রকাশ করে তারা। এর আগে গত জুনে আইএমএফের বিপিএম-৬ ফর্মুলা অনুযায়ী, দেশের প্রকৃত রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, তা ছিল ৩১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।