সবাই ভেবেছিলেন, মরুর শহরে এসব হবে না। পোশাক নিয়ে যা কড়াকড়ি, কাতারে খাপ খুলতে পারবেন না মডেল কিংবা রমনীরা! কিন্তু প্রাক্তন মিস ক্রোয়েশিয়া কীভাবে যেন আইনের ফাঁক গলে আগুন ধরিয়েই চলেছে তা সবাই দেখছেন! কাঁধ ঢাকতে হবে, হাঁটু যেন ঢাকা থাকে—কাতারের এসব কড়াকড়ি তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছেন ক্রোট সুন্দরী ইভানা।
গ্রুপ পেরিয়ে কাতারের নকআউটে ক্রোয়েশিয়া। আর শহরজুড়ে ঝড় তুলছেন ইভানা নল। ৩০ বছর বয়সি ইভানা এক সময়ে লুকা মদরিচের দেশের সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হয়েছিলেন। ক্রোয়েশিয়ার জাতীয় দলকে সমর্থন করতে কাতারে এসেছেন তিনি।
কাতারে ঘুরতে বেরিয়ে রাজধানী দোহার আশপাশে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সাহসী পোশাক পরেছিলেন তিনি। বিশেষত, মরক্কোর বিরুদ্ধে ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচে আল-বায়ত স্টেডিয়ামে তাকে দেখা গিয়েছিল আঁটসাঁট হুডিতে। ক্রোয়েশিয়ার পতাকা আঁকা সেই পোশাকে দেখা গিয়েছিল তার বক্ষভাঁজ। পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বনাম ইংল্যান্ডের ম্যাচেও একই ধরনের পোশাক পরেছিলেন তিনি। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করতেই শুরু হয় বিতর্ক।
আর তাতেই বিপত্তি। মডেলের এ হেন আচরণে অখুশি কাতার প্রশাসন। অনেকেই স্থানীয় সংস্কৃতির দোহাই দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তার পোশাক নিয়ে। সমালোচনায় অবশ্য কান দেননি মডেল। বরং দোহার সৈকতে বিকিনি পরে হাজির হয়ে তেজ বাড়ান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে!
সবচেয়ে মজার হল, যখন তিনি স্টেডিয়ামে ঢুকছেন, তার পোশাক দেখে কাতার প্রশাসনের আপত্তি থাকবে না। কিন্তু গ্যালারিতে ঢুকেই টি টুয়েন্টি খেলছেন ক্রোট সুন্দরী। না পারছেন কেউ ইগনোর করতে, না পরছেন ছবি তোলার লোভ সামলাতে।
গ্রেফতার হওয়া নিয়ে ভীত নয় জানিয়ে ইভানা বলেন, আমি অন্যের ক্ষতি করছি না। কাতারের অনেক মানুষ আমার সঙ্গে ছবি তুলতে আসেন। যদি কাতারের মানুষ আমাকে ঘৃণা করতেন, তাদের যদি আপত্তি থাকতো, তাহলে তারা এসব করতেন না।
গ্যালারিতে ত্রাহি ত্রাহি রব তোলা ইভানা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের বিশ্বকাপেও ক্রোয়েশিয়াকে সমর্থন জানাতে গ্যালারিতে ছিলেন। এবারও কাতারের সব নিয়ম কানুনকে কাঁচকলা দেখিয়ে রয়ে গিয়েছেন গ্যালারিতে ‘ক্রেয়েশিয়ার সেক্সিয়েস্ট চিয়ারলিডার।’ ক্রোটরা ইভানাকে ওই নামেই ডাকেন।