চীনের সঙ্গে ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাড়তে দেশের বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের যে বাণিজ্যিক লেনদেন, সেটি অসমান। আমাদের শিল্পপতি, ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করবো, বাণিজ্যিক লেনদেনের এ অসমতা কমিয়ে আনতে। বিশেষত যারা বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ী, তারা এগিয়ে এলে এই অসমতা অনেকটাই কেটে যাবে।’
শনিবার বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে চীনা প্রতিষ্ঠান ইউনান কমার্শিয়াল রিপ্রেজেনটেটিভ আয়োজিত ‘কালারফুল ইউনান’ শীর্ষক দিনব্যাপী মেলা পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চীনে তিন লাখ ৯৪ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে অবস্থিত ইউনান প্রদেশ, যার মধ্যে ৮০ ভাগ সমতল। বাংলাদেশের চাইতে এই জায়গাটি প্রায় তিনগুণ বড়। যদিও জনসংখ্যা অনেক কম, মাত্র পাঁচ কোটি। চীনের এই প্রদেশের একটা ন্যাচারাল প্রতিরোধ ব্যবস্থা আছে। একপাশে আছে ভিয়েতনাম, একপাশে মিয়ানমার।
কে এম খালিদ বলেন, ইউনান প্রদেশে বিপুল পরিমাণে ফুল উৎপাদন হয়। আমি যখন ইউনানে যাই, তখন এতো ফুল দেখে ভেবেছিলাম এগুলো আসল নাকি কাগজের?
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটনগত দিক থেকে ইউনান অসাধারণ জায়গা। তার অন্যতম কারণ হলো জনসংখ্যার ঘনত্ব কম। আমাদের ঢাকায় জনসংখ্যার ঘনত্ব এতো বেশি যে, পর্যটনের জন্য যা উপযুক্ত হয়ে উঠছে না। তবুও আমরা উন্নতির চেষ্টা করছি।
চীনের ৭৩তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই মেলায় চীনের ইউনান প্রদেশের সংস্কৃতি, ফুল, বিভিন্ন ধরনের অর্গানিক খাবার এবং নানা ধরনের পণ্য প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া ইউনান প্রদেশ সম্পর্কিত একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়।
অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূত এইচ ই লি জিমিং ইউনান প্রদেশের গভর্নর এইচ ই ওয়াং ইউবো, চীনের বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশে ইউনান কমার্শিয়াল অফিসের পরিচালক লি ঝিয়াও উপস্থিত ছিলেন।