আবারও ঊর্ধ্বমুখী ডিমের দাম। গত এক সপ্তাহে কয়েকবার ওঠানামার পর ব্রয়লার মুরগির ডিমের হালি এখন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, আর ডজন ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা গেছে, সাদা ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, ডজন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। লাল ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, ডজন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। তবে সুপারশপগুলোতে এ দাম আরেকটু বেশি দেখা গেছে।
অন্যদিকে খুচরা বাজারে হাঁসের ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, আর ডজন ১৯৫ থেকে ২০০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, আর ডজন ২০০ থেকে ২০৫ টাকা।
খুচরা বাজারের ডিম বিক্রেতারা জানান, তারা পাইকারি বাজার থেকে শ (১০০) হিসেবে ডিম কেনেন। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও প্রভাব পড়েছে।
তারা জানান, পাইকারি বাজারে গত ১২ সেপ্টেম্বর ১০০ ডিমের দাম ছিল ৯৬০ টাকা। ১৩ সেপ্টেম্বর তা বেড়ে হয় ১০০০ টাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর ১০৫০ টাকা। এরপর প্রতিদিন ১০ টাকা করে ওঠানামা করেছে। আজ তারা একশ ডিম কিনেছেন ১ হাজার ৬০ টাকা করে। এর সঙ্গে ভাড়া যোগ হয়ে বেড়েছে ডিমের দাম।
পলাশী বাজারে ডিম বিক্রেতা মো. কাওছার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডিমের দাম একবারে বাড়েনি, ধাপে ধাপে বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগে যে ডিম ৯৫০ থেকে ৯৬০ টাকা দিয়ে কিনেছি, এখন প্রতি ১০০ ডিমে আগের তুলনায় ১০০ টাকার বেশি দাম বেড়েছে। এর ফলে ডিমের হালিতে চার-পাঁচ টাকা বেড়েছে। কি কারণে দাম বেড়েছে, তা আড়তদার বলতে পারবে।
রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশন বাজারের ডিমের আড়তদার ইউসুফ মিয়া বলেন, খাবারের (ফিড) দাম বাড়ায় মুরগির দাম যেমন বেড়েছে, ডিমের দামও তেমনি বেড়েছে।
তার কথার সঙ্গে একমত হাতিরপুল বাজারের মুরগির দোকানদার মো. দুলাল। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, মুরগির খাবারের দাম বাড়ায় ডিমের দামও বাড়ছে।
তিনি বলেন, তীর কোম্পানির ২৫ কেজির এক বস্তা খাবারের (ফিড) দাম তিন মাস আগে ছিল ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। সেটা বাড়তে বাড়তে এখন ১১০০ টাকা হয়েছে। এর ফলে মুরগির পাশাপাশি ডিমের দামও বেড়েছে।
রাজধানীর পলাশী বাজারে ডিম কিনতে এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল আমিন। ডিমের দাম শোনার পর না কিনেই ফেরত গেলেন তিনি।
আল আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডিমের দাম মনে হয় প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে। গত সপ্তাহে ডজন দেখলাম ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। এখন ১৪০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। সেজন্য ডিম না কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।