বিশ্বব্যাপী আর্থিক অবস্থা মন্দার মধ্যেও দেশের ব্যাংকে বেড়েছে কোটি টাকা আমানকারীর সংখ্যা। তিন মাসের ব্যবধানে কোটি টাকা আমানকারী বেড়েছে দাড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৬০ জন। এদিকে গত তিন মাস আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী কোটি টাকার উপরে আমানতকারী ছিলো এক লাখ ৩ হাজার ৫৯৭টি।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোতে এক কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে এমন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৮ হাজার ৪৫৭টিতে। তিন মাস আগে ছিল এক লাখ ৩ হাজার ৫৯৭টি। এ বছরের শুরুতে ২০২১ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিকে এর সংখ্যা ছিল এক লাখ এক হাজার ৯৭৬টিতে। আর এক বছর আগে ২০২১ সালের জুনে কোটি টাকার বেশি হিসাবের সংখ্যা ছিল ৯৯ হাজার ৯১৮টি। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোটি টাকার হিসাব বেড়েছে ৮ হাজার ৫৩৯টি, ছয় মাসে বেড়েছে ৬ হাজার ৪৮১টি ও তিন মাসে বেড়েছে ৪ হাজার ৮৬০টি।
এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা ১২ কোটি ৯৫ লাখ ১৪ হাজার ৫১৩টিতে দাঁড়িয়েছে। এসব হিসাবে মোট ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা জমা ছিল। এছাড়া এই বছরের মার্চ পর্যন্ত আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৭৩ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৩টিতে। তাদের হিসাবে মোট ১৫ লাখ ১৪ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা জমা ছিল।
এদিকে গেল বছরের জুন পর্যন্ত মোট আমানতকারীর সংখ্যা ১২ কোটি ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ২৬৬টি ছিল। সে সময় তাদের হিসাবে ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৭৬৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা জমা ছিল।
সার্বিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোটি টাকার আমানত মানে কোটিপতি না। কারণ এ তালিকায় একাধিক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। এছাড়া ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান ইচ্ছেমতো ব্যাংক হিসাব খুলতে পারেন, এজন্য কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। এর ফলে একই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে একাধিক ব্যাংক হিসাব রয়েছে। এছাড়া এসব হিসাবের তালিকায় বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা রয়েছেন।