শরীরে স্ট্যামিনা বাড়াবে যেসব খাবার

মানুষের পরিচয় তার কর্মে। কর্মক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষ চান নিজের শরীর সুস্থ করে তোলার। অতিরিক্ত কাজের চাপে অনেক সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে যায়। দুর্বল শরীর নিয়ে কোনও কিছুই ভালোভাবে চলতে পারে না। সবক্ষেত্রে কাজের পরিমাণ কমানো সম্ভব নয় বলে নিজের ফিটনেস এবং মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব দেয়া উচিত।

স্ট্যামিনা তৈরি করতে শুধু ব্যায়ামের ওপর নির্ভর করলে হবে না, খাবারের দিকেও বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। আপনার খাদ্য তালিকায় কম চর্বিযুক্ত সুষম খাবার, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন সি, প্রচুর ফল, শাকসবজি এবং সাদা মাংস রাখুন। এসব খাবার আপনার শরীরে শক্তি জোগাবে, শারীরিক এবং মানসিক স্ট্যামিনা বাড়াবে। শরীরের স্ট্যামিনা ও মনোবল বৃদ্ধিতে সহজেই কয়েকটি খাবারে স্ট্যামিনা বাড়িয়ে দাম্পত্য ভালো রাখা যায়। কিছু কিছু এমন খাবার প্রতিদিন পাতে রাখা দরকার যা খেলে স্ট্যামিনা বাড়ে। তাই সেই দিকে লক্ষ রাখুন।

আমন্ড, দই

আমন্ড ও দই খেলে স্ট্যামিনা বাড়ে। এগুলো আপনি নিজের মতো করে খেতে পারেন। এক্ষেত্রে ব্রেকফাস্টেই খেয়ে নিতে পারেন এই খাবার। দেখা গিয়েছে যে এই খাবার নিয়মিত খেতে থাকলে শরীর ভালো থাকে। এরমধ্যে থাকা প্রোবায়োটিক, ওমেগা থ্রি শরীর ভালো রাখতে পারে। তাই এই খাবারগুলো খান।

শস্য দানা

বেশিরভাগ মানুষ শস্য দানা খাবার এড়িয়ে চলেন। যদিও দেখা গিয়েছে যে ওটস থেকে শুরু করে আটার রুটি, ডালিয়া খুব ভালো এক্ষেত্রে। এই খাবারের মধ্যে থাকা ফাইবার কিন্তু শরীর ভালো রাখতে পারে। তাই এই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।

আপেল

আপেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। এছাড়াও এতে ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। আপেল লিভারকে ডি-টক্সিফাই করে, হার্ট ভালো রাখে ও ওজন ঠিক রাখে।

কলা

শরীরে শক্তি না পেলে কলা খেতে পারেন। কলায় থাকা পটাশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, প্রোটিণ, ফাইবার ও পুষ্টি উপাদান শরীরের শক্তি বাড়াবে।

পালং শাক

পালং শাক শক্তির ভালো উৎস। পালং শাককে থাকা আয়রন, পটাশিয়াম শরীরে শক্তির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

ডিম

শরীরের শক্তি বাড়াতে ডিম খেতে পারেন। ডিম প্রোটিণ সমৃদ্ধ খাবার। যা আপনার শরীরে শক্তি বাড়াতে সাহায্যে করে।

সালাদ

পুরুষের স্ট্যামিনা বাড়ায় সালাদ। সালাদে থাকে ভালো পরিমাণে পুষ্টিগুণ। এই খাবারে থাকে অনেকটা ভিটামিন ও মিনারেল। আর সেই সব ভিটামিন খুবই ভালোভাবে স্ট্যামিনা বাড়়ায়। তাই চিন্তার কারণ নেই।

বিনস

বিনসে রয়েছে আয়রন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেটস, প্রোটিন ও খনিজ। এগুলি শরীরের এনার্জির মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।

ড্রাই ফ্রুটস

ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া খুবই ভালো। এই খাবারে রয়েছে কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ। এই সকল খাবারগুলি একত্রে কিন্তু সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে।

ব্রাউন রাইস

ব্রাউন রাইসে রয়েছে ফাইবার ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। হজম প্রক্রিয়াকে মসৃণ করতে এটি সাহায্য করে। এছাড়া এটি এনার্জিবর্ধকও।

পানি

শরীরের স্ট্যামিনা বাড়ায় পানি। পানিশূন্যতা ও অবসাদ এড়াতে বেশি করে পানি পান করুন। যদি আপনার শরীরে পানি কম থাকে, তাহলে শরীরের রক্ত জমে যেতে পারে। এর কারণে শরীরে রক্ত সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিতে পারে এবং অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়।

শর্করাজাতীয় খাদ্য

শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট থেকে উৎপন্ন স্টার্চ ও সুগার শরীরের পেশির জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির যোগান দেয়। তাই খাদ্যশস্য, রুটি, ফল ও শাক-সবজির মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন।

বিটের রস

বিটে রয়েছে ভিটামিন এ ও সি। এটি স্ট্য়ামিনা বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। ক্লান্তি ও অবসাদকেও কমিয়ে আনে এটি।

বদঅভ্যাস দূর করুন

ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান কিংবা ফাস্টফুড খাওয়ার অভ্যাস আপনার স্ট্যামিনা কমিয়ে দেয়। তাই এ ধরনের বদঅভ্যাস পরিহার করলে কার্যতই আপনার শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে। এক্ষেত্রে অনেক দিনের অভ্যাস থাকলে আস্তে আস্তে তা দূর করার চেষ্টা করুন।