বর্তমান বিশ্বে কোলেস্টেরলের সমস্যা সবচেয়ে আলোচিত। মানবদেহে ভালো কোলেস্টেরল খারাপ কোলেস্টেরল দুটোই থাকে। এর মধ্যে কপালে চিন্তার ভাঁজ খারাপ কোলেস্টেরল। খারাপ কোলেস্টেরল কী জানেন তো? কী হতে পারে এর কারণে? কীভাবে বুঝবেন আপনার দেহে খারাপ কোরেস্টেরল রয়েছে?
মানুষের দেহে মূলত ‘হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ ও ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’- এ দুধরনের কোলেস্টেরল পাওয়া যায়। এর মধ্যে দ্বিতীয়টি খারাপ কোলেস্টেরল। খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে রক্ত সংবহনতন্ত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর ফলে স্ট্রোক ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। বেশিরভাগ সময়ে কোলেস্টেরলের সমস্যা বেড়ে গেলেও বোঝা যায় না। তাই উপসর্গগুলো চিনে নেওয়া জরুরি।
পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ
ধমনীর মধ্য দিয়ে দেহের বিভিন্ন অঙ্গে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত ছড়িয়ে পড়ে। রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়লে ধমনীর ভেতর চর্বি জাতীয় পদার্থের আস্তরণ পড়ে রক্ত চলাচলের পথ রুদ্ধ হয়ে আসতে পারে, বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘প্লাক’। এ ধরনের প্লাক তৈরি হলে দেহের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত পৌঁছনোয় সমস্যা দেখা দেয়। দেহের প্রান্তিক অঙ্গগুলোর ধমনীতে তৈরি হওয়া এই সমস্যাকেই বলে ‘পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ’ বা ‘পিএডি’।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা বলছে, এই রোগে পায়ের একাধিক অংশে টান ধরার সমস্যা দেখা দিতে পারে। পায়ের পাতা, নিতম্ব, থাই ও উরুর পেশি সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় এই রোগে। হাঁটতে গেলে ব্যথা হতে পারে পায়ে। তা ছাড়া পা নীলচে হয়ে আসা, ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া কিংবা এক পায়ের পাতার উষ্ণতা অন্য পায়ের তুলনায় কম হওয়াও এই রোগের লক্ষণ। দেহের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের রক্তবাহগুলোতেও নীরবে একই সমস্যা তৈরি হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।