অফিস এবং ঘরের কাজ একসঙ্গে সামলাতে গিয়ে বিশ্রাম নেওয়াই হচ্ছে না। রাতে ঘুমও হচ্ছে না ঠিকঠাক। ফলে পরের দিন সকালে একরাশ ক্লান্তি, কাজে ভুল হওয়া, বাড়তি মানসিক চাপ।
এই সব কিছুরই সমাধান করতে পারে যোগাসন। তবে ঘুম থেকে উঠে যোগাভ্যাস করতে অনেকেরই আলস্য লাগে। তবে এমন কিছু যোগাসন আছে যা ঘুম থেকে ওঠা মাত্রই আপনি বিছানাতেও সেরে ফেলতে পারেন। সারাদিন মনকে চাঙ্গা করে ফুরফুরে মেজাজ পেতে আপনিও করতে পারেন এই তিন ধরনের যোগাসন।
বালাসন: হাঁটু মুড়ে গোড়ালির উপর বসুন। এ বার শরীরটা ব্যাঁকান। শরীরটা এমন ভাবে ব্যাঁকান যাতে বুক উরুতে গিয়ে ঠেকে। মাথা গদির উপরে রেখে হাত দুটো সামনের দিকে প্রসারিত করুন। এই আসন স্নায়ুতন্ত্রের জন্য খুব উপকারী। সেই সঙ্গে ঘাড় ও পিঠের ব্যথা কমাতেও এর জুড়ি নেই।
সুখাসন: প্রথমে শিরদাঁড়া সোজা করে পা সামনের দিকে ছড়িয়ে বসুন। এ বার হাঁটু বেঁকিয়ে নিয়ে বাঁ দিকের পা ডান দিকের হাঁটুর তলায় রাখুন এবং আপনার ডান দিকের পা বাঁ দিকের হাঁটুর তলায় রাখুন। এ বার হাতের তালু দুটো হাঁটুর উপরে রাখুন।
মাথা, ঘাড় ও শিরদাঁড়া যেন এক সরলরেখায় থাকে। সোজাসুজি তাকিয়ে স্বাভাবিক শ্বাস নিন। এ ভাবে ৬০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। এই আসনের ফলে মন শান্ত হবে, চিন্তা কমবে ও উদ্বেগ দূর হবে। সেই সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিও দূর করবে এই আসনের ফলে।
আনন্দ বালাসন: হাত ও পা ছড়িয়ে বিছানায় পিঠ ঠেকিয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাঁটু মুড়ে পেটের কাছে নিয়ে আসুন। এ বার হাত দুটো প্রসারিত করে পায়ের পাতা দুটো ধরুন। হাঁটু দুটোর মধ্যে যেন বেশ খানিকটা দূরত্ব থাকে। এই ভাবে ৬০ সেকেন্ড থাকুন। শরীরের যাবতীয় ক্লান্তি দূর করবে এই আনন্দ বালাসন। পিঠের পেশির স্ট্রেচিংয়েও সাহায্য করবে। – আনন্দবাজার