প্রেম তো আর বলে কয়ে আসে না। প্রেমে পড়ার কোন নির্দিষ্ট দিন-ক্ষণ বলা যায় না। যে কোন সময় েয কারোর প্রেমে পড়া অস্বাভাবিক নয়। তবে সেই ‘প্রেমে পড়া’কে প্রেম করায় নিয়ে যাওয়া কিন্তু এক নয়।
প্রথম ধাপে অনেকে থাকলেও দ্বিতীয় ধাপ অর্থাৎ পছন্দের মানুষটির সঙ্গে প্রেম করা কিন্তু একটু কষ্টসাধ্য। এই দুইয়ের মাঝে জল কিন্তু কম গড়ায় না। পছন্দের মানুষকে নিজের প্রেমে পড়তে, তাকে ইমপ্রেস করার জন্য কত চেষ্টা থাকে।
কারও প্রেমে পড়লে তার সঙ্গে কথা বলা কিংবা তার সামনে চলাফেরার ক্ষেত্রে অনেকে ভুল করে থাকেন। কেউ কেউ নিজেকে স্বাভাবিক থেকে কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে থাকেন।
অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে অধিকাংশ সময়ই কাঙ্ক্ষিত প্রেমটি আর হয়ে ওঠে না। নিজেকে বেশি স্মার্ট প্রমাণ করতে গিয়ে কেউ কেউ পছন্দের মানুষটির বিরক্তের কারণ হয়ে দাঁড়ান। আবার অনেক ক্ষেত্রে এমন কিছু আচরণ করা হয় যা একদমই বিপরীত মানুষটির পছন্দ নয়।
পছন্দের মানুষের মন পাওয়ার জন্য নিজেকে অতিরিক্ত বিশ্বাসী ভাবা যাবে না। অধিকাংশ মানুষই বুঝদার ব্যক্তিদের পছন্দ করলেও সবজান্তা স্বভাব-বৈশিষ্ট্যের কাউকে পছন্দ করেন না। কখনো কখনো নিজের আচরণগত কারণে পছন্দের মানুষের কাছে হাসির পাত্র হয়ে উঠতে পারেন।
আপনার হয়তো অনেক টাকা-পয়সা, গাড়ি-বাড়ি রয়েছে। পছন্দের মানুষকে দামি সব উপহার দিয়ে তার মন পাবেন বলে যদি বিশ্বাস করে থাকেন তাহলে আপনি ভুল। কেননা, ভালোবাসা কখনো অর্থ-সম্পদ দেখে হয় না।
আর যে সকল মানুষ অর্থ-সম্পদ দেখে সম্পর্ক গড়ে তোলে সেটা মূলত কোনো ভালোবাসার সম্পর্ক নয়। সেই সম্পর্কে কোনো মায়া থাকে না। থাকে কেবলই বিলাসিতার লোভ।
আপনি হয়তো মেধাবী বা বিশেষ কোনো গুণ রয়েছে আপনার কিংবা কোনো কারণে নিজেকে সেরা মনে করেন। কেউ কেউ তার গুণের কারণে অহঙ্কারও করে থাকেন। এমনটা করলেও পছন্দের মানুষের মন পাবেন না।
একটি ভালোবাসার সম্পর্ক হচ্ছে আমৃত্যু একসঙ্গে কাটিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি। দুজনের সুখে-দুখে একসঙ্গে জীবনের পথ চলা। কিন্তু নিজের ভেতর কোনো কারণে অহঙ্কারবোধ থাকলে বিপরীত মানুষকে সবসময় ছোট মনে হওয়া স্বাভাবিক।
আর এই বিষয়গুলো প্রতিটি মানুষই সম্পর্ক গড়ে তোলার আগে পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। তাই পছন্দের মানুষকে ভালোবাসি বলার আগে তার মন পাওয়ার জন্য ছোট ছোট সমস্যাগুলো এখনই বদলে ফেলার অভ্যাস করুন। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা