পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে প্রেম করে বিয়ের মাত্র এক বছর পর সুমি (১৫) নামে এক কিশোরী গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত সুমি উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের ঢেপসাবুনিয়া গ্রামের মিলন মোল্লার মেয়ে। সে একই গ্রামের মাস্টার মো. ফারুক হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদারের স্ত্রী।
সুমির মামা মো. মনির হোসেন ফরাজীর অভিযোগ, মঙ্গলবার বিকালে হৃদয় হাওলাদার মোটরসাইকেল কেনার জন্য এক লাখ টাকা সুমির কাছে দাবি করে। পরে সুমি টাকা দিতে রাজি না হওয়া সুমিকে মারধর করে। এতে সুমির মৃত্যু হয়। পরে এই হ’ত্যাকে আত্মহ’ত্যা বলে চালিয়ে দিতে ঘরে থাকা চালের পোকা নিধনের ওষুধ মুখে দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে রাতে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেলে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মনির হোসেন আরও জানান, সুমির বাবার সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক না থাকায় সুমির মা জীবিকার সন্ধানে সৌদি আরব থাকেন। সুমি আমাদের বাড়িতে থেকে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত। গত এক বছর আগে সুমির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে হৃদয়ের বিয়ে হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. এনামুল হক বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি মামলার করার প্রস্তুতি চলছে। তবে তার মৃত্যুর কারণ হ’ত্যা না আ’ত্মহ’ত্যা তা ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় স্বামী মো. হৃদয় হাওলাদার ও শাশুড়ি ইয়াছমিনকে আটক করা হয়েছে।