বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঘাড় ব্যাথার অন্যতম প্রধান কারণ হল সার্ভিকাল স্পনডাইলোসিস। মেরুদণ্ডের ক্ষয় রোগ হলো স্পন্ডাইলোসিস আর মেরুদণ্ডের ঘাড়ের অংশের ক্ষয়কে বলে সার্ভিকাল স্পন্ডাইলোসিস। আমাদের মেরুদণ্ড গঠিত হয় হাড়, মাংশপেশী, হাড়ের জোড়া ইত্যাদি নিয়ে।
সার্ভিক্যাল স্পন্ডাইলোসিসের কারণ
বয়স বাড়ার রোগ এটি। স্পন্ডাইলোসিসের পরিবর্তন শুরু হয় ৪০ বৎসর বয়সের পর থেকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর আগেও শুরু হয় হাড়ের ক্ষয়। আনুপাতিক হার পুরুষ বা নারী রোগীদের মধ্যে প্রায় সমান সমান।
যে পেশার মানুষের বেশি হয়
ঘাড় সামনে ঝুঁকিয়ে কাজ করতে হয় এমন সব পেশার মানুষদের এ রোগটি বেশি দেখা যায়। যেমন- শুধুমাত্র চেয়ার টেবিলে বসে কাজ করে এমন এক্সিকিউটিভ, কম্পিউটারে একনাগাড়ে কাজ ইত্যাদি।
ঘাড়ের আঘাতের জন্যও অনেক সময় হাড় ক্ষয় দেখা দেয়।
উপসর্গ
ঘাড়ের ব্যথা অনেক সময় কাঁধ থেকে ওপরের পিঠে, বুকে, মাথার পেছনে বা হাত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। ঘাড় থেকে হাতে নেমে আসা স্নায়ু বা নার্ভের ওপর চাপ পড়লে পুরো হাতেই ব্যথা হতে পারে।
হাত পায়ে দুর্বলতা, হাঁটতে অসুবিধা হতে পারে।
ঘাড় নাড়াতে গেলে ব্যথা লাগে। ডানে বায়ে ঘাড় ঘুরাতে সমস্যা হবে। ঘাড়ে স্থবিরতা লাগে বা জ্যাম মেরে ধরে থাকে।
ব্যথার সঙ্গে হাতে, বাহুতে ঝিন ঝিন, সির সির্, অবশভাব, সূচ ফোটানোর অনুভূতি সঙ্গে হাত দিয়ে কাজ করতে অসুবিধা।
এমন ব্যথা হলে ঘাড়ের এম আর আই, ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফি পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ শনাক্ত করা হয়।
এবার চিকিৎসা
ওষুধের পাশাপাশি এক্ষেত্রে ঘাড়ের বিভিন্ন ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ঘাড় ব্যথা যেন না হয় এজন্য যা করতে হবে:
শক্ত সমান বিছানায় এক বালিশে চিত হয়ে ঘুমাতে হবে।
ঘুমানোর সময় ঘাড়ের নিচে বালিশ দিতে হবে।
দরকার হলে বালিশ নিচে টেনে নামিয়ে ঘাড়ের নিচে নেবেন।
ঘাড় সামনে ঝুঁকে বেশিক্ষণ কাজ করা যাবে না।
ব্যথা বেশি হলে ঘাড়ে হালকা গরম সেক দিতে পারেন।
এ সময় ঘাড়ের ব্যায়াম বেশ আরাম দেবে।
সার্ভিক্যাল কলার ব্যবহার করা হবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে।