ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি খাতে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ৩৯১ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৪৩৯ টাকা করা হয়েছে। প্রতি সিলিন্ডারে দাম বেড়েছে ৪৮ টাকা। গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজি বা অটো গ্যাস প্রতি লিটারের দাম ৬৪ টাকা ৭৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ২ পয়সা করা হয়েছে। তবে সরকারি পর্যায়ে সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের মূল্য পরিবর্তন হয়নি, তাই সেটি আগের ৫৯১ টাকায় রয়েছে।
আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে। আজ রবিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নতুন দাম ঘোষণা করেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কমিশনের সদস্য মকবুল ই-এলাহী চৌধুরী, মোহাম্মদ আবু ফারুক, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, কামরুজ্জামান, সচিব খলিলুর রহমান খান।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সব ধরনের জ্বালানির দাম বেড়ে গেছে। এলপিজি সাম্প্রতিক বছরগুলোর সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এপ্রিল মাসে (সৌদি আরামকো) যথাক্রমে প্রতি টন প্রোপেন ৯৪০, বিউটেন ৯৬০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। ২০১৪ সালের পর আর কখনো এত বেশি দরে বেচাকেনা এলপিজির।
জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান সৌদি আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে সৌদি আরামকো কম্পানির প্রপেন ও বিউটেনের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে এলপিজির নতুন মূল্য ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। গত ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি। তার পর থেকে প্রতি মাসে একবার দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।
সূত্র : কালের কণ্ঠ