অনেক ভালোবাসার পরও কেন ‘পুরুষটি’ ছেড়ে গেল বা কেন সে আগ্রহ হারাল, এমন প্রশ্ন হয়তো অনেকের মনেই ঘুরপাক খায়। আসলে এ নিয়ে বিস্তর তর্ক-বিতর্ক রয়েছে।
তবে মোটাদাগে কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলোর কারণে একজন পুরুষ বিরক্ত হয়ে পড়ে সম্পর্কে, আগ্রহ হারায় নারীটির প্রতি। সম্পর্কবিষয়ক ওয়েবসাইট লাভ লানিংস প্রকাশ করেছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
১. অতি আবেগ
আবেগীয়ভাবে যুক্ত হওয়ার আগে, প্রথম কিছুদিনের সাক্ষাতে আপনি হয়তো শান্ত, স্থির ও বুঝদার থাকেন। পুরুষ এ পর্যায়টি পছন্দ করে। সে দেখে আপনি আত্মবিশ্বাসী, খুব মজা করে কথা বলতে পারেন। এগুলো তাকে আপনার প্রতি আগ্রহী করে তোলে।
তবে ধীরে ধীরে আপনি যখন বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন, তাকে নিয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন, তাকে হারাতে চান না, তখন সে ভয় পেয়ে যায়। সে ভেবে কূল পায় না, কীভাবে এতে প্রতিক্রিয়া দেখাবে।
আসলে এখানে আপনাকে আবেগহীন রোবট হতে বলা হচ্ছে না। তবে আবেগকে একটু নিয়ন্ত্রণ করা তো যেতেই পারে, তাই না?
২. নিরাপত্তাহীনতা
অনেকে অন্য নারীর বিষয়ে সব সময় পুরুষটিকে জিজ্ঞেস করতে থাকে। পুরুষটি কোথায় গেল, কার সঙ্গে কী করল, এসব নিয়ে বেশি বেশি প্রশ্ন করে। এ বিষয়টি কিন্তু পুরুষদের বেশ অপছন্দের। এতে নারীটিকে ঈর্ষাপরায়ণ ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে ভাবে সে। এটি পুরুষদের সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ হারানোর অন্যতম একটি কারণ।
আসলে প্রত্যেকেই কখনো না কখনো নিজেকে নিরাপত্তাহীন মনে করে, বিশেষ করে খুব সুন্দর কোনো মানুষের সামনে। এটি নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই ঘটে। তবে এটি একান্তই নিজস্ব ভাবনা এবং খুব বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এর সমাধান করা উচিত বলে মনে করেন সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।
৩. মরিয়া ভাব
সাধারণত মেয়েদের খুব বেশি মরিয়া ভাব ছেলেরা পছন্দ করে না। নারীটি হয়তো আকর্ষণ ও ভালোবাসা পাওয়ার জন্য খুব মরিয়া হয়ে পড়ে, হুট করে, আবেগের বশবর্তী হয়ে যেকোনো উদ্ভট কাজ করে ফেলে পুরুষটির জন্য। এ ধরনের নারী সাধারণত ছেলেদের অপছন্দের।
পুরুষটিকে তার মতো থাকতে দিন, আপনিও আপনার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকুন। এই আত্মবিশ্বাস ও স্বাধীনভাবই পুরুষটিকে আপনার প্রতি আগ্রহী করবে, এমনটাই বলেন বিশেষজ্ঞরা।
৪. সহজেই আগ্রহ হারানো
কোনো কিছুর প্রতি সহজেই আগ্রহ হারানোর বিষয়টি অপছন্দ করে পুরুষরা। বিশেষ করে এটি বেশি ঘটে যৌনতার ক্ষেত্রে। যারা যৌনতার প্রতি অতিরিক্ত অনাগ্রহী, তাদের প্রতি আগ্রহ হারায় পুরুষ।
৫. আরেকটি চাহিদা
আসলে বহুগামী স্বভাব মানুষের স্বভাবজাত—বিশেষজ্ঞরা এমনটাই বলেন। তবে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও মঙ্গলের কথা ভেবে মানুষ একগামী। আর এটি নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই ঘটে। খুব ভালো ‘ইমোশনাল অ্যাটাচমেন্ট’-এর পরও অন্য কাউকে জানার আগ্রহের কারণে আপনার প্রতি অনাগ্রহী হয়ে উঠতে পারে সে।
৬. ভালোবাসার জন্য জোর করা
পুরুষ সাধারণত বর্তমানে বাঁচতে চায়। আর নারী বেশিরভাগ সময়ই ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে থাকে। নারীর এ স্বভাবটি নিয়ে হয়তো সে প্রথমে কিছু বলে না। তবে সে যখন বুঝতে পারে আপনি তার কাছ থেকে অনেক বেশি আশা করেন, তখন সে বিরক্ত হয় এবং সম্পর্কে আগ্রহ হারায়। তাই ধৈর্য ধরুন। ভালোবাসার জন্য, প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার জন্য খুব বেশি জোর করবেন না তাকে।
একে অনেকটা বালুর সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। বালুকে হাতের মুঠোয় খুব শক্ত করে ধরলে এটি আঙুলের ফাঁক দিয়ে পড়ে যায়। আর হালকাভাবে ধরলেই বরং থেকে যায়। আসলে ভালোবাসা যদি আসেই, সেটা তার আপন গতিতেই আসবে।