ওরা যদি আমার ছেলেকে গু’লি করে মা’র’ত তাহলে ওর এতো কষ্ট হতো না: আবরারের মা

আগামীকাল রোববার নি’হ’ত বুয়েট (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) ছাত্র আবরার ফাহাদ হ’ত্যা মাম’লার রা’য় ঘোষণা হবে। আগামীকাল ঢাকার দ্রু’ত বি’চার ট্রাইব্যুনাল-১-এর আ’দালতে এ রায় ঘোষণা করা হবে। ইতোমধ্যে মাম’লাটিতে ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। দেশে-বিদেশে আ’লোচিত এই হ’ত্যা’র আ’সা’মিদের সর্বো’চ্চ শা’স্তি আশা করেছে তার পরিবার।

হ’ত্যাকা’রীদের ক’ঠিন শা’স্তি হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের এভাবে হ’ত্যা ব’ন্ধ হবে এমনটাই বললেন আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন। তিনি বলেন, ওরা যদি আমার ছেলেকে গু’লি করে মা’রতে পারতো, তাহলে ওর এতো কষ্ট হতো না। ওরা খুব কষ্ট দিয়ে মে’রেছে। শনিবার কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কে আবরারের বাসায় গেলে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন রোকেয়া খাতুন।

রা’য় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত থাকবেন- আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ও ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ। দুপুরে বাসযোগে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন তারা।

তবে খু’নি’দের দেখতে চান না বলে আবরারের মা রোকেয়া খাতুন যাননি। তিনি বলেন, ওদের সর্বো’চ্চ শা’স্তি না হলে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হ’ত্যাকা’ণ্ড চলতেই থাকবে। আজ আমার ছেলে গিয়েছে, কাল আরেক মায়ের কোল খালি হবে।

আমার মতো আর যেন কোনো মায়ের কোল খালি না হয়। মা;ম’;লায় আরও আ’সা’মি হওয়া দরকার ছিল বলে

উল্লেখ করে আবরারের মা বলেন, আশপাশের রুম থেকে ফাহাদের নি’র্যা’তনে’র খবর জেনেও বুয়েট কর্তৃপক্ষকে

জানায়নি। বিষয়টি জানালে ফাহাদের এই নির্মম মৃ’ত্যু হয়তো হতো না।আবরারের ছোট ভাই ফাইয়াজ নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

সেখানে তিনি লেখেন ‘আমরা সর্বোচ্চ শা’স্তির রায় আশা করছি। ভাইয়ের রায় ঘোষণা শুনতে আব্বার সঙ্গে আমিও ঢাকায় যাবো। আমাদের সঙ্গে আমাদের পরিবারের আরও অনেকে যাবে।’