ডিম জনপ্রিয় একটি খাবার। একে সুপার ফুডও বলা হয়। সকালের নাস্তায় বেশিরভাগ মানুষ ডিম খান। মাছ, মাংসের পাশাপাশি তরকারি হিসেবেও জায়গা করে নিয়েছে ডিম। প্রশ্ন হচ্ছে ডিম কীভাবে খাবেন? সিদ্ধ নাকি পোচ?
বিশ্বব্যাপী এক এক জন এক এক ভাবে ডিম খেতে ভালোবাসেন। কেউ ডিম সিদ্ধ করে খেতে পছন্দ করে, কেউ স্ক্র্যাম্বলড ডিম পছন্দ করে, অনেকের আবার অমলেট বেশি পছন্দের।
ডিম আপনি যেভাবেই খান শরীরে পুষ্টি হয়তো হয়, কিন্তু তা প্রয়োজনীয় ও সঠিক মাত্রায় হয় না। কীভাবে এবং কতটা প্রোটিন আপনার শরীরে প্রবেশ করছে তা নির্ভর করছে আপনি ডিম কীভাবে রান্না করে খাচ্ছেন তার ওপর।
সাধারণত ডিম সিদ্ধ বেশি জনপ্রিয় সকলের কাছে। রান্নার ঝক্কিও যেমন থাকে না তেমন চটজলদি ভরপেট খাওয়ার। কিন্তু তাতে কি শরীর সম্পূর্ণ পুষ্টি পাচ্ছে? এ প্রশ্ন উঠছেই।
ভারতের বাঙালি ডায়েটিশিয়ান নমামি অগ্রবাল সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন যে ডিমের সম্পূর্ণ উপকারিতা পেতে হলে পোচ করে খাওয়াই ভালো।
তিনি জানিয়েছেন, একটি ডিমের বেশিরভাগ পুষ্টি কুসুমে থাকে। ডিমের সাদা এবং কুসুম একসঙ্গে খেলে প্রোটিন, চর্বি এবং ক্যালরির সঠিক ভারসাম্য পাওয়া যায়।
ডিমকে সুপারফুড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ডিম সব ধরনের পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। তাই যেকোনও ডায়েটে ডিম অবিচ্ছেদ্য।
ভিটামিন এ – ৬ শতাংশ, ভিটামিন বি ৫ – ৭ শতাংশ, ভিটামিন বি ১২ – ৯ শতাংশ, ফসফরাস – ৯ শতাংশ, ভিটামিন বি ২ – ১৫ শতাংশ, সেলেনিয়াম – ২২ শতাংশ।
প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়া অপরিহার্য হলেও, তা কীভাবে রান্না করে খাবেন সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। ডায়েটিশিয়ানের মতে, ডিম সিদ্ধ হলেও তা হাফ বয়েল খেতে পারেন সেক্ষেত্রে কুসুমের পুষ্টিও দেহকোষ অবধি পৌঁছাবে।