সহজলভ্য নারকেল তেলেই রয়েছে ত্বকের নানা সমস্যার সমাধান। এই তেলের নানান স্বাস্থ্য উপযোগিতা তো রয়েছেই, বরং ত্বকের সমস্যা সমাধানেও এটি উপযোগী। এতে উপস্থিত অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি ফাঙ্গাল, অ্যান্টি ব্যাক্টিরিয়াল উপাদান রয়েছে।
মুক্ত র্যাডিক্যালের কারণে যে ক্ষতি হয়, তার মোকাবিলায় নারকেল তেলে উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সাহায্য করে। এটি একটি ময়শ্চারাইজারের কাজ করে। পাশাপাশি এর ফলে বলিরেখা, দাগছোপ, এক্সিমা এবং অ্যাকনের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বকের যত্নে নারকেল তেল দিয়ে তৈরি কয়েকটি ফেস মাস্ক নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। চলুন সেগুলো দেখে নিই-
নারকেল তেল ও ওটমিল:
নারকেল তেল ও ওটমিল অ্যাকনে সারিয়ে তোলার সবচেয়ে কার্যকরী উপাদান। এই তেলে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকে এবং ওটমিল ত্বককে শান্ত করে। এটি ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য পুনঃস্থাপিত করে।
এই ফেসমাস্ক তৈরির জন্য একটি পাত্রে ৩ টেবিল চামচ ওটমিল এবং এক টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এরপর ঈষদুষ্ণ পানি মিশিয়ে একটি পেস্ট বানান। পেস্টটি ১০ মিনিটের জন্য মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর হাল্কা হাতে ম্যাসাজ করে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার করলে উপকার পাওয়া যাবে।
মধু ও নারকেল তেল:
নারকেল তেল ও মধু ত্বককে নারিশ ও হাইড্রেট করে। মধুতে উপস্থিত উৎসেচক ত্বকে ব্যাক্টেরিয়ার প্রকোপ বাড়তে দেয় না। এক টেবিল চামচ নারকেল তেল এবং আধ টেবিল চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। এটি লাগিয়ে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপর ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। নিয়মিত এটি করতে পারেন।
নারকেল তেল, কলা এবং হলুদের মাস্ক:
হলুদ অ্যাকনের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করে এবং ত্বক বিবর্ণ হতে দেয় না। আবার কলার পাশাপাশি নারকেল তেল ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে। এর জন্য ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল, এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো এবং ম্যাশ করা কলা এক সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই পেস্ট ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। তার পর ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। সপ্তাহে দুবার এই মাস্ক ব্যবহার করুন।
নারকেল তেল, দই ও লেবু:
ত্বক গভীর ভাবে পরিষ্কার করে নারকেল তেল, দই ও লেবু। এর ফলে ত্বকের ক্ষতি হবে না এবং বার্ধক্যের চিহ্নও দেরিতে দেখা দেবে। আধা টেবিল চামচ নারকেল তেল, ১ টেবিল চামচ দই এবং আধা টেবিলচামচ লেবুর রস এক সঙ্গে মিশিয়ে মুখ ও ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
নারকেল তেল, বেকিং সোডার মাস্ক:
নারকেল তেলে উপস্থিত অ্যান্টিসেপ্টিক গুণের জন্য এটি অ্যাকনে সৃষ্টিকারী ব্যাক্টিরিয়ার সঙ্গে লড়াই চালায়। এতে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকে এবং ত্বক শান্ত করে। আবার বেকিং সোডা ত্বকের পোরসগুলো পরিষ্কার করে। এর ফলে ব্ল্যাকহেডস, মৃত ত্বক এবং নোংরা পরিষ্কার হয়। আধ টেবিল চামচ বেকিং সোডার মধ্যে এক টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে মুখে লাগান। ৫ মিনিট পর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুবার এটি ব্যবহার করতে পারেন।