যেভাবে মেয়েরা পুরুষদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে

প্রকৃত প্রদত্ত সৌন্দর্যের অধিকারী হলেই যে অন্যের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠে যাবে এমনটা ভাবেন অনেকে। তবে অন্যের কাছে আকর্ষণীয় হওয়ার জন্য নিজের কাছে প্রথমে আকর্ষণীয় হতে হবে। এজন্য নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে আলাদাভাবে। খুব সুন্দর হতে হবে কিংবা পরিপাটি পোশাক থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই। এক্ষেত্রে আকর্ষণটাই হচ্ছে সবচেয়ে জরুরী। চাল-চলন কথা বার্তায় আকর্ষণ থাকলে নজর কাড়া যায় খুব সহজেই। এজন্য সব ক্ষেত্রেই একটা বৈচিত্র থাকা চাই।

বিশেষ করে যেসব মহিলারা সুন্দর করে কথা বলেন, যারা যে কোনও বিষয় সুন্দর করে বুঝিয়ে দেন এবং যাদের সঙ্গে কথা বলে মনের একটা পরিতৃপ্তি থাকে তাদের প্রতিই সকলে বেশি আকৃষ্ট হন। এসব মহিলারা কিন্তু সব সময় পডিটিভিটিতে ভরপুর। যতই সমস্যা আসুক না কেন সব কিছু নিজেদের মতো করে জয় করে এগিয়ে যান। সেই সঙ্গে তারা অপরাধের কাছে কখনও নতি স্বীকার করেন না।

মানুষের ব্যবহারই তার আসল পরিচয়। রূপ দিয়ে কখনও কোনও মহিলার বিচার করা যায় না। সুন্দরী হলেই তিনি আকর্ষণীয় হয়ে যান না। আর তাই দেখে নিন ঠিক কী কী কারণের জন্য মহিলারা আপনার কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেন।

আপনি অনেক সুন্দরী হলেন কিন্তু যে সৌন্দর্যের মধ্যে কোন আকর্ষণ থাকল না। তবে কেউ আপনার দিকে ফিরেও তাকাবে না। তাই বলি সুন্দর হবার চিন্তা পরিহার করে নিজেকে আকর্ষণীয় করার চেষ্টা চালিয়ে যান। দেখবেন অনেকের নয়ন মনি হয়ে গেছেন।

আকর্ষণীয় হবার জন্য প্রসাধনী ব্যবহার চিন্তা বাদ দিয়ে আগে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, মাধুর্যপূণ্য ব্যবহার, হাসিমাখা কথার অভ্যাস করুণ। আর ভিতর থেকে রুচি সম্মত মানানসই পোশাক নির্বাচন করার ক্ষমতা তৈরি করুন।

সাধারণ জ্ঞান, আউট নলেজ বাড়াতে প্রতিদিন পত্রিকা টিভি সংবাদ, সাধারণ জ্ঞানের বই পড়ুন। নিজেকে আকর্ষণীয় করতে আপনার আউট নলেজের জ্ঞান ভান্ডার বৃদ্ধি করুন এটা খুব জরুরী। আপনার ফিগারটাকে আকর্ষণীয় করতে জিম করা প্রয়োজন।

অর্থ আর ক্ষমতা হাতে থাকলেই যে অহংকারী হতে হবে এমন কিন্তু নয়। কিন্তু বেশ কিছু মানুষের মধ্যে অহং বোধ বেশি। যেখান থেকে তারা অন্যের প্রতি খারাপ আচরণ করেন, অধিকারবোধ দেখান। মানুষের প্রতি ভালো ব্যবহার থাকলে, স্বভাবে আচরণে নম্র হলে সহজেই কিন্তু অন্যের মন জয় করা যায়।

প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রেই কিন্তু আত্মবিশ্বাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর যা কিন্তু ভেতর থেকে মানুষকে সুন্দর করে তোলে। যাদের নিজেদের প্রতি আত্মবিশ্বাস থাকে তাঁরা অন্য কিছুর সঙ্গে নিজেকে তুলনা করেন না। আর এই মনের সৌন্দর্য কিন্তু চুরি করা যায়না কোনও ভাবেই।

জীবনে ওঠা পড়া তো লেগেই থাকে। কিন্তু মনের দিক থেকে যদি ইতিবাচক থাকা যায় তাহলে কিন্তু অন্যরকম জোর পাওয়া যায়। আপনার মধ্যে পজিটিভিটি থাকলে অন্যরাও সেটার দ্বারা প্রভাবিত হবেন। যত বেশি মনের মধ্যে পজিটিভিটি থাকবে তত কিন্তু নেগেটিভিটি কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।

মনের মধ্যে যদি হাসি থাকে, কথার সঙ্গে যদি হাসি লেগে থাকে তাহলে তা কিন্তু সহজেই মানুষকে আকর্ষণ করতে পারে। কারোর হৃদয় জয় করতে হাসিটাই যথেষ্ঠ। হাসি মনের ইতিবাচকতার প্রতীক। তাই সব সময় হাসতে থাকুন। হাসি মানুষের অভিব্যক্তি বোঝাতে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।

আমাদের সমাজে অনেকে মনে করেন মহিলারা সব ব্যাপারে পুরুষদের উপরই নির্ভর করবে। মেয়েদের সব দায়িত্ব স্বামীদের এমনটাও ধারণা আছে অনেকের মধ্যে। তাই যে সব মহিলারা আর্থিক ভাবে স্বাধীন হন তারা কিন্তু মনের দিক থেকেও অন্যরকম হন। নিজের মতো করে পরিকল্পনা, স্বতন্ত্রতাই তাদের অন্যদের থেকে আলাদা করে দেয়। তারা নিজেরা খুব ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

ব্যক্তিমানের রুচি ও ব্যক্তিত্বকে উপস্থাপন করে পোশাক। তাই পোশাককে নিয়ে ঘষা মাজা চলে সব সময়। ফ্যাশনের স্মার্টনেস ফুটে উঠে মানানসই পোশাকের মাধ্যমেই। তাই পোশাকের ব্যাপারে এতটুকু ছাড়া দেওয়া উচিত নয়। এক্ষেত্রে সচেতনতার সহিত পোশাক নির্বাচন করুণ।

কখনই ময়লা যুক্ত কাপড় পড়বেন না। খুব প্রয়োজনি হলে দেখে নিন তাতে গন্ধ আছে কিনা। গোসল করার সময় শরীরের সেসব স্থান দিয়ে ঘাম বেশী ঝরে সেসব স্থানে সাবান কিংবা শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ঘষে পানি দিয়ে ধৌত করবেন।

নিয়মিত সাবান ও শ্যাম্পু ব্যবহার করুণ। বিশেষ করে মেয়েরা এসব ব্যাপারে বেশি সাবধানতা অবলম্বন করুণ। কারণ আরও নানাবিধ কারণে মেয়েদের শরীরে গন্ধের সৃষ্টি হতে পারে।

নিজেকে স্মার্ট করতে জ্ঞান ভান্ডার বাড়িয়ে তুলুন। শুধু পুস্তুকের জ্ঞান ভাণ্ডারই নয়। সাধারণ, সময়, পরিবেশ, পরিস্থিতির,জ্ঞান ভান্ডার বিভিন্নভাবে শিখতে হবে। প্রতিদিন খবরাখবর কাগজ জোকস তথ্যজ্ঞান বই পড়তে হবে এবং টিভি সংবাদ, দেখতে হবে। এর বাইরেও যেসব আউট নলেজ রয়েছে তা বৃদ্ধি করে যান।

অপ্রয়োজনীয় কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। আকর্ষণীয় হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে সব জায়গাই অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনীয় কথা না বলা। আপনার মধ্যে সব গুণই বিদ্যমান কিন্ত যদি বেশি কথা বলেন, তাহলে আপনাকে বিরক্ত মনে করবে। অতিরিক্ত কথার মধ্যে ভুল থাকার সম্ভবনা বেশি থাকে। তাই ভেবে চিন্তে কথা বলুন। কথা বলার সময় যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখতে হবে – সঠিক ও নিশ্চিত হচ্ছে কিনা। স্পষ্ট ভাষায় হচ্ছে কিনা। অগোছালো যেন না হয়। তর্ক-বিতর্ক যেন না হয়। নেতিবাচক হওয়া যাবে না।