পুরুষের পুরুষত্ব শক্তি বাড়ানোর সেরা ২০ উপায় জেনে নিন

বর্তমান সময়ে যৌন শক্তি কমে যাওয়া ছেলেদের একটি প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুরুষত্ব শক্তি কমে যাওয়ার পেছনে অনেক কারনই দায়ী। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে কিছু খারাপ অভ্যাস এবং খাদ্যাভাস পুরুষত্ব ক্ষমতার উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশেষ করে ছেলেদের বয়ঃসন্ধির সময় থেকেই সতর্ক না থাকলে পরিনত বয়সে বা বিবাহীত জীবনে এসে সমস্যায় পরতে হয়। যেমন, অনেক পুরুষই অল্প বয়সে অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে নিজের বিবাহীত জীবনের মারাত্মক ক্ষতি করে ফেলেন। এমনকি নিজেকে ধ্বজভংয় রোগের দিকে ঠেলে দেন। তাই আমাদের সবার পুরুষত্ব শক্তি বাড়ানোর উপায় কি তা জানার পাশাপাশি কোন কাজ পুরুষত্ব ক্ষমতা নষ্ট করে তাও জেনে রাখতে হবে।

১। পুরুষত্বশক্তি বাড়াতে খেজুর :
খেজুর বা খোরমা খেজুরের সাথে পুরুষত্ব শক্তি এবং শারীরিক শক্তির বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এ জন্য বিবাহ-শাদিতে আদি কাল থেকেই খোরমা খেজুর বিলি করার একটি রিতি রয়েছে! পুরুষত্ব শক্তি বাড়ানোর জন্য মূলত খেজুরে বিদ্যমান বিভিন্ন শক্তিশালী খনিজ উপাদান দায়ী! শক্তি বৃদ্ধির হালুয়া তৈরিতে এ জন্যই খোরমা খেজুর ব্যবহার করতে হয়। শুধু তাই নয় চিকিৎসা বিজ্ঞানেও খেজুরকে পুরুষত্ব শক্তি বৃদ্ধির জন্য বিশেষ একটি খাদ্য উপাদান হিসিবে গন্য করা হয়। আরবের মানুষের খাদ্য তালিকায় প্রধান খাদ্য হিসেবে থাকে খেজুর। যার কারনে আরবিয়ানদের শারীরিক শক্তি এবং যৌন শক্তি অতুলনীয়। খেজুর খেয়ে পুরুষত্ব শক্তি বাড়ানোর জন্য আপনাকে প্রতিদিন ৩ থেকে ৫ করে খেজুর খেতে হবে অথবা তাজা খেজুর মাখনের সাথে খেতে হবে।

২। পুরুষত্ব শক্তি বাড়ানোর জন্য মধু খানঃ
মধু হলো পুরুষত্ব শক্তি বড়ানোর জন্য সর্বজন স্বীকৃত ও প্রমানিত একটি শ্রেষ্ঠ উপাদান। পুরুষত্ব শক্তি বাড়ানোর উদ্দেশ্য খাঁটি মধু খেলে উদ্দেশ্য বিফলে যাবে না। ইসলাম ধর্ম তথা পবিত্র আল-কোআন এবং অন্যান্য ধর্মেও মধুর কথা বলা হয়েছে বিশদ ভাবে। মধু শুধু পুরুষত্ব শক্তিই বাড়ায় না; পুরুষত্ব শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি মধু দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ! মধু দেহ থেকে দুষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে; আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্কে শক্তি বাড়ায় তথা স্মৃতি শক্তি বাড়ায়; মধু আমাদের পাকস্থলিও ভালো রাখে। পুরুষত্ব শক্তি বাড়ানোর জন্য মধুর বিভিন্ন উপাদান এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। পুরুষত্ব শক্তি বাড়ানোর জন্য সকালে খালিপেটে, হাতে মধু নিয়ে চেটে চেটে খেতে হবে ; অথবা এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে ১ বা ২ চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে।

৩। পুরুষত্ব শক্তি বাড়ানোর জন্য দুধ :
আপনি কখনো না কখনো একজন নববধুকে তার স্বামীর জন্য এক গ্লাস দুধ নিয়ে যেতে দেখেছেন। আমাদের সমাজে সদ্য বিবাহিত ছেলেদের আজও প্রতি সন্ধ্যায় এক গ্লাস করে দুধ খেতে দেয়া হয়। এর কারন আপনে বুঝে গেছেন। দুধ শুধু পুরুষত্ব শক্তি বৃদ্ধি করে তাই নয়, দুধ ঘাততি এবং শারিরীক শক্তি যথেষ্ট বাড়িয়ে দেয়। কারন দুধ হলো এমন একটি আদর্শ খাদ্য যেখানে ভিটামিন সি ছাড়া সমস্ত খাদ্য উপাদান রয়েছে। পুরুষত্ব শক্তি বাড়ানোর জন্য গরু, মহিষ, ছাগলের দুধ খেতে পারেন। তবে পুরুষের পুরুষত্ব শক্তি বাড়াতে ছাগলের দুধ অতুলনীয় ! এ জন্য ছাগলের দুধ খেলে উদ্দেশ্য বিফলে যাবে না। অন্য দুধের তুলনায় ছাগলের দুধ তাড়াতাড়ি হজম হয়।

৪। পুরুষত্ব শক্তি বাড়ানোর জন্য ডিম :
দুধের পরে ডিমের স্থান। পুরুষত্ব শক্তি বাড়াতে ডিম একটি আদর্শ খাদ্য। সকালের নাস্তায় আপনি আর যাই খান, বিশেষ উপকারিতা পেতে হলে একটি সেদ্ধ ডিম খেতেই হবে। কারন সেদ্ধ করা ডিমে রয়েছে- আমিষ বা প্রোটিন, ভিটামিন ও স্নেহ পদার্থ। একটি সেদ্ধ ডিম খাওয়ার ফলে আপনার দেহে যথেষ্ট শক্তি সঞ্চার হবে। স্ত্রী গমনের পরে অথবা স্বপ্নদোষ হলে, শরিলের ঘাততি পূরণের জন্য বিশেষজ্ঞরা সেদ্ধ ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে অবশ্যই দেশি মুরগির ডিম খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

৫। পুরুষত্ব শক্তি বাড়ানোর জন্য কলা :
কলা পুরুষের স্পার্ম বা বীর্যের মান উন্নত করে। এছাড়া কলাতে রয়েছে ব্রমেলাইন নামক এক প্রকার এনজাইম; যা পুরুষের পুরুষত্ব শক্তি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এর পাশাপাশি কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম এবং রিবোফ্লাবিন; যা শরিলকে শক্তিশালী করে তোলে।

৬। পুরুষত্ব শক্তি বাড়াতে পালংশাক :
বিভিন্ন শাক-সবজির মধ্যে পালংশাক খনিজ উপাদানে ভরপুর। যেমন পালংশাকে আছে প্রচুর পরিমানে ম্যাগনেশিয়াম। এই ম্যাগনেশিয়াম শরীলে রক্ত চলাচল বাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে দেহের রক্ত চলাচল বাড়লে পুরুষত্ব শক্তি বাড়ে। তাই মাঝে মাঝে পালংশাক ও অন্যান্য তাজা শাক-সবজি খাওয়া যেতে পারে।

৭। পুরুষত্ব শক্তি বাড়ানোর জন্য রসুনঃ
রসুনের উপকারিতা ও সহজলভ্যতার জন্য; রসুন কে বলা হয় গরিবের পেনিসিলিন। সহজ ভাষায় বললে রসুন এমন একটি খাদ্য উপাদান যা নিরবে বিবাহীত জীবনে ভূমিকা রেখে চলে। রসুন পুরুষত্ব অক্ষম পুরুষের ক্ষমতা বাড়ায়; বীর্য বাড়ায়; বীর্য ঘন করে। এছাড়াও রসুন প্রেশার নিয়ন্ত্রনে রাখে; গ্যাস সমস্যায় উপকার করে; দেহে ব্যাথার প্রশমন করে। তবে এক সাথে ২-৩ কোয়া রসুন খেতে হবে, এর বেশি নয়।