নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দরিদ্র আনোয়ার হোসেন ফারুককে একটি অটোরিকশা কিনে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক শনিবার (২৯ মে) তাকে এ অটোরিকশাটি হস্তান্তর করেন বলে নিশ্চিত করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, ‘আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পাওয়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফারুককে একটি ব্যাটারি চালিত রিকশা উপহার দিয়েছি। তার পারিবারিক সমস্যাগুলো খতিয়ে দেখে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
একসময় তার ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন ছাত্রলীগের শত শত নেতা-কর্মী। বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে লড়াই করেছেন। সহ্য করতে হয়েছে জেল-জুলুম-নির্যাতন। অনেকে লেখাপড়াও শেষ করতে পরেননি।
তাদেরই একজন নোয়াখালীর কবিরহাট সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগের দুঃসময়ের সঙ্গী দাপুটে ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন ফারুক। তিনি অর্থাভাবে এখন রিকশা চালাতে বাধ্য হচ্ছেন।
এক সময়ের দাপুটে নেতা বলে তার রিকশা চড়তেও লজ্জা পান এলাকাবাসী। আনোয়ার হোসেন ফারুক কবিরহাট উপজেলার পদুয়া গ্রামের মোহাম্মদ উল্যার ছেলে।
মোহাম্মদ উল্যার চার ছেলে, দুই মেয়ের মধ্যে ফারুক দ্বিতীয়। মা, স্ত্রী ও চার কন্যাসন্তান নিয়ে বড় একটি সংসারের দায়িত্ব এখন ফারুকের কাঁধে। ফারুকের ছোট ভাই পারভেজ মোশারফ জেলা ছাত্রলীগের সদস্য।
২০০১ সালে বিএনপি জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের কার্যক্রম যখন নিভু নিভু অবস্থায়, তখন দাপটের সঙ্গে কবিরহাট সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে সংগঠন গুছিয়ে তোলেন তিনি। সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয় থাকায় জেল-জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ফারুক।