যেভাবে শক্তিশালী হামাসের উত্থান ও তাদের কার্যক্রম!

১৯৮০-এর দশকে ইয়া’সির আরাফাতের পেলে’স্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) এর বি’রোধি’তায় হামাসের জন্ম। পি’এলও’র বি’রোধী শক্তি হিসেবে দাঁড় করাতে শুরুর দিকে ইস’রায়ে’ল সরকার হামাসকে অর্থ সহায়তা দিয়েছিল বলে অনেকক্ষেত্রে দাবি করা হয়। তবে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠায় এমন কোনো ধরনের ভূমিকার কথা বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে সংশ্লিষ্টরা।পিএলও’র মতো হামাস ইস’রায়ে’লের অ’স্তিত্বের অধিকারে বিশ্বাস করে না।

তাদের প্রতীকে রয়েছে জেরুজালেমের ‘ডোম অব দ্য রক’। ইস’রায়ে’ল, গা’জা ও পশ্চিম তী’রকে একক ফি’লিস্তিন রাষ্ট্র হিসেবে তারা বি’বেচনা করে।১৯৯৩ সালে ই’য়াসির আ’রাফাত অসলো চুক্তি’র অধীনে ই’সরায়ে’লের সঙ্গে শান্তি স্থা’পন করেন, যার মধ্য দিয়ে ১৯৮৭ সালে শু’রু হওয়া প্রথম ইন্তি’ফাদার অ’বসান হয়।

হামাস এই শান্তি প্র’ক্রিয়া প্রত্যাখ্যান করে ইস’রায়ে’লে হা’ম’লা অব্যা’হত রাখে।২০০৬ সালের গা’জার সাধারণ নির্বাচনে হামাস পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। এরপর থেকে মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বে ফাতাহ-এর অধীনে রয়েছে পশ্চিম তীর আর গা’জার নি’য়ন্ত্রণ হা’মা’সের হাতে।

২০০৮-০৯, ২০১২ ও ২০১৪ সালে ই’সরায়ে’লি সেনার সঙ্গে হামাসের তু’মু’ল ল’ড়াই চলে।১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র হা’মাসকে স’ন্ত্রা’সী তা’লিকাভুক্ত করে। ২০০৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নও তাদেরকে স’ন্ত্রা’সী তালিকায় রাখে। হামাস এই বিষয়ে আ’দালতে চ্যা’লেঞ্জ করে।

তবে আদালত তাদের আবেদন বাতিল করে। যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াও হামাসকে স’ন্ত্রা’সী তা’লিকাভুক্ত করেছে।হামাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সহযোগী কাতার। দেশটির আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল-থানি প্রথম রাষ্ট্রনেতা, যিনি ২০১২ সালে হামাস সরকারের সঙ্গে দেখা করেন। এখন পর্যন্ত দেশটি হামাসকে ১৮০ কোটি ডলার দিয়েছে।হামাসের প্রতি তুরস্কেরও সমর্থন রয়েছে।

সংগঠনটির নেতা ইসমাইল হানিয়ের পক্ষে রাজনৈতিক অবস্থান রয়েছে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোগানের। এছাড়াও বিভিন্ন উদ্যোগ ও ফাউন্ডেশনের সহযোগিতাও পায় তারাসবশেষ সংঘাতেও ইস’রায়ে’লের উদ্দেশে প্রতিদিন শতাধিক র’কে’ট ছুঁ’ড়েছে হামাস।

দীর্ঘদিন হামাস র’কে’টের জন্য ইরা’নের উপর নির্ভর’শীল ছিল। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সুদান ও মিশর হয়ে সেখান থেকে অ’স্ত্র চো’রাচা’লান হতো। তবে বর্তমানে গা’জাতেই হা’মাস র’কে’ট বা’নাচ্ছে বলেও ধারণা করা হয়।