ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ তার গতিপথ পরিবর্তন করে বাংলাদেশ উপকূলে না এসে ভারতের ওরিশা উপকূল অতিক্রম করে ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করেছে। এতে বাংলাদেশ প্রবল আঘাতের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। ফলে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে দেশে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে জোয়ারের পানিতে উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় এবং কয়েকটি বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় অনেক বাড়ি-ঘর, ফসলের ক্ষেত ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।
বুধবার (২৬ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাওছার পারভীন জানান, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলো একটু প্লাবিত হবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৩-৬ ফুট অধিক উচ্চতার জোয়ারের পানি প্রবাহিত হতে পারে। বৃদ্ধি হওয়া পানি আরও দু’একদিন অব্যাহত থাকবে। ইয়াসের প্রভাবে দেশে আরও ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তবে বাতাসে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
এদিকে, ইয়াস সম্পর্কিত ১৭ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের উত্তর উত্তর ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করে ঝাড়খণ্ডের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।