বিয়ের পর কেমন হয় মেয়েদের জীবন? তাঁদের ভালবাসার খুদা, বা আরও সুনির্দিষ্টভাবে বললে, যৌন চাহিদা কি তাঁদের অবিবাহিত জীবনের থেকে কিছু বাড়ে, বা কমে?
সমীক্ষা জানাচ্ছে, বিযের পর বৃদ্ধি পায় মহিলাদের শারীরিক ভালবাসার চাহিদা। ‘পার্সোনালিটি অ্যান্ড ইন্ডিভিজুয়াল ডিফারেন্সেস’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হচ্ছে, ২৭ থেকে ৪৫ বছর বয়সি বিবাহিত মেয়েদের তাঁদের যৌন জীবনে শুধু যে অধিকতর সক্রিয় তা-ই নয়, তাঁদের যৌন ফ্যান্টাসিগুলিও অল্পবয়সি অবিবাহিত মেয়েদের থেকে অনেক বেশি তীব্র। কিন্তু এমনটা হওয়ার কারণ কী?
ওই একই গবেষণাপত্রে দাবি করা হচ্ছে, এই প্রশ্নের উত্তর নিহিত রয়েছে মানবসভ্যতার ইতিহাসে। আদিম মানবসমাজে বিভিন্ন রোগব্যাধি, যুদ্ধ, অনাহার ও প্রাকৃতিক দু্র্যোগে অজস্র শিশুর মৃত্যু দেখতে দেখতে বড় হতে হত মেয়েদের। ফলে অল্পবয়স থেকেই যত বেশি সম্ভব শিশুর জন্ম দিয়ে এই শিশুমৃত্যুর ক্ষতিপূরণের একটা বাসনা তৈরি হত মেয়েদের মনে। এই মনোভাবের রেশ আধুনিক যুগের মেয়েদের মনেও রয়ে গিয়েছে। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহিলাদের সন্তানধারণের ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে সেক্ষেত্রে বাড়াতে হয় যৌনক্রিয়ার পরিমাণ।
আমাদের দেশের মেয়েদের ক্ষেত্রে এই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটে না। বরং মনস্তাত্ত্বিক সুধীর কাকর ও ক্যাথারিনা কাকরের‘দা ইন্ডিয়ানস: পোর্ট্রেট অফ আ পিপল’ গ্রন্থে বলা হচ্ছে, সাধারণভাবে এদেশে দাম্পত্য জীবনে এখনও বহুলাংশে সন্তানলাভকেই যৌনতার প্রধান লক্ষ্য বলে মনে করা হয়। ফলে সন্তান জন্ম নেওয়ার পরে এদেশে দম্পতিদের স্বাভাবিক যৌন জীবনে একটা ভাটা আসে। যৌনতার অভাব মেয়েদের মধ্যে যৌন তাড়নার বৃদ্ধি ঘটায় বলেই মনে করছেন মনস্তাত্ত্বিকরা। স্বাভাবিকভাবেই, বিয়ের পরে বেড়ে যায় মেয়েদের ভালবাসারা চাহিদা।
আপনার সঙ্গী কি আপনার সঙ্গে অপরিতৃপ্ত ? কিভাবে বুঝবেন ? একটি শিক্ষণীয় পোস্ট
নিজের প্রজন্মকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং জীবনকে আরো উপভোগ্য করে তুলতে সাথে নিজের সাংসারিক জীবনকে আরো মধুর করে তুলতে যৌনতার দরকার অবশ্যই দরকার আছে, সেই সঙ্গে দরকার আছে সঙ্গীকে পুরোপুরি তৃপ্তি দেওয়া। যেটা করতে অক্ষম হন অনেকেই। আসুন তাহলে একটু দেখে নিই কীভাবে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার সঙ্গী আপনার ওপর পরিতৃপ্ত কি না?
দেখুন আমরা সকলেই জানি যে যৌন মিলনের শেষ পর্যায় হচ্ছে অরগাজম বা চরম তৃপ্তি। নারী এবং পুরুষ দুজনের ক্ষেত্রে বিষয়টা একটু অন্যরকম। একজন নারী সম্পূর্ণভাবে মিলন অনুভব করে চরম সীমায় পৌঁছাতে যেটুকু সময় নেন তুলনামূলক ভাবে একজন পুরুষের সময় অনেক কম লাগে। আর এর ফলেই শুরু হয় সমস্যা। সুতরাং আপনি যখন মিলনে রয়েছেন তখন আপনাকে শুধু নিজের দিকটা দেখলে চলবেনা আপনাকে আপনার উল্টোদিকের মানুষের পরিতৃপ্তির কথাও ভাবতে হবে।
আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের বিপুল সংখ্যক নারীর অরগাজমের সাথে পরিচয় নেই। এমনকি তারা জানেন না- অরগাজমের ব্যাপারে। কেননা পুরুষের চাইতে নারীর অরগাজমটা একটু ভিন্ন ও গভীর। পুরুষের অরগাজম বা যৌন মিলনে পরিতৃপ্তি যত সহজে আসে, নারীর ক্ষেত্রে তেমনটা হয় না। নারীর অরগাজমে সময় ও যৌন মিলনের সঠিক পজিশন প্রয়োজন। যা অনেকেই না মেনে সঙ্গিনীর সঙ্গে যৌন মিলনে লিপ্ত হন। এরজন্য দরকার সঠিক সেক্স-এডুকেশন।
যৌন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরুষ যেমন বীর্যপাতের আগ মুহূর্তে বুঝতে পারেন পরিতৃপ্তি, নারীর ক্ষেত্রেও তাই। যৌন মিলনের সময় অরগাজম হবার কয়েক মুহূর্ত আগেই নারীও বুঝতে পারবেন যে চরম মুহূর্ত উপস্থিত হতে যাচ্ছে। এসময় হার্ট বিট বেড়ে যেতে শুরু করবে, মুখে রক্ত জমবে, নিঃশ্বাস ভারী হয়ে যাবে। কেউ কেউ ঘামতেও শুরু করবেন। তবে সব চাইতে নিশ্চিত ব্যাপারটি হচ্ছে নারীর যোনিতে এমন একটা উত্তেজনাময় অনুভব তৈরি হবে- যেটা আগে কখনও অনুভব করেননি। এক রকমের অবর্ণনীয় আনন্দ বা সুখ পাওয়া যাবে। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এই অনুভবের পর ভীষণ ক্লান্তি অনুভব করবেন। আর যোনির পিচ্ছিল ভাব কমে গিয়ে যোনি শুকিয়ে আসবে।
পাশাপাশি পিপাসা বোধ করতে পারেন, ক্লান্তিতে ঘুম আসবে, হুট করেই যৌন মিলনের আগ্রহ হারিয়ে যাবে। শরীর কাঁপতেও পারে আবেশে। যোনির ভেতরে কম্পন অনুভূত হতে পারে। এসব লক্ষণ প্রকাশের আগে পুরুষের বীর্যপাত হলে বুঝতে হবে সঙ্গিনীকে পরিতৃপ্ত করতে পারেননি। যা দাম্পত্য জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন গবেষকরা