করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল ভারত। ঠিক এই সময়ে হাসপাতালে পাহাড়সমান বিল করায় নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার রাতে প্রয়াত হয়েছেন তার এক কাকা অমিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। সল্টলেকের বাসিন্দা ছিলেন। করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি, সরকারি হাসপাতালে বেড না পেয়ে মুকুন্দপুরে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। গত ২৪ দিন ধরে ভর্তি ছিলেন তিনি। ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি, হাসপাতালের পক্ষ থেকে সোমবার জানানো হয় তিনি করোনা নেগেটিভ হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হয় তার। আর তার পরেই হাসপাতাল কতৃপক্ষ ১৮ লক্ষ রুপির বিল ধরায় পরিবারকে। আর তাঁর পরেই হাসপাতাল কতৃপক্ষ ১৮ লক্ষ রুপির বিল ধরায় পরিবারকে।
২৪ দিনের জন্য মোট বিল হয়-১৮ লক্ষ ২৯ হাজার ৬২২ রুপি। মজার বিষয় এরই মাঝে ৭৮ হাজার ৮৬৬ রুপি ছাড় দেয় হাসপাতাল। অর্থাৎ মোট বিল দাঁড়ায় ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার ৭৫৬ রুপি। এই রুপি জমা দিয়ে রোগিকে ছাড়াতে হয় পরিবারকে। এত রুপি বিলের কার জানতে চাইলে তারা একটি বিশাল বিস্তারিত রশিদ ধরিয়ে দেন, যার কোনও অর্থই হয় না, এমনটাই অভিযোগ পরিবারের।
রাতে চেতলায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তার। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অভিযোগ তুলে ধরেন সাহেব চট্টোপাধ্যায়। মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে এই পরিমাণ বিল মেটানো সত্যিই কষ্টকর। জিনিউজ