প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনাকে নি;র্যা;তন করেই ক্ষান্ত হয়নি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এখন তার চরি;ত্র হন;নের প্রচার;ণায় নেমেছে। আজ বুধবার দেশের প্রায় সব জাতীয় দৈনিক রো;জিনার বিরু;দ্ধে কুৎ;সিত আক্রম;ণ করে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে। রোজিনাকে হে;ন;স্থা করা এবং তার প্রতি পৈ;শা;চিক আচর;ণ নিয়ে গোটা দেশ যখন প্রতিবা;দ মুখর। সরকারও যখন বিষয়টি মীমাং;শার চেষ্টা করছে, সহানুভূতিশীল আচর;ণ করছে, তখন এই বিবৃতি বিস্ম;য়কর।
তাহলে তদন্ত কমিটি কি করবে: রোজিনার ঘটনা তদন্তে গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) মো: সাইফুল্লাহিল আজমকে আহ্বায়ক করে, গঠিত এই কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ সচিব মো: আবদুছ সালাম ও মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান। তদন্ত কমিটি কাজ শুরুর আগেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘটনার ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, বিজ্ঞাপনে লেখা হয়েছে ‘শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার সাথে কোন রূপ অ;শো;ভন আ;চরণ অথবা কোনরকম হে;ন;স্থা করা হয়নি।’ বিজ্ঞাপনটির সবচেয়ে অমা;র্জনীয় লেখা গুলো হলো ‘দুঃখ;জনকভাবে বিষয়টি নিয়ে কিছু সংবাদ ও সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রা;ন্তিকর ও অ;সত্য তথ্য, ছবি, ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে। যেমন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগমের নাম উল্লেখ করে যে ছবি/ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে তা প্রকৃত পক্ষে ঐ কর্মকর্তারই নয়।’ সব সিদ্ধান্ত দেয়ার পর তদন্ত কমিটি কি হা;স্যকর নয়?
বিচারাধীন বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ: এই বিজ্ঞাপন দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্পষ্টত আদালত অবমা;ননা করেছে। বিচারাধীন (সাব জুডিস) বিষয়ে তারা রায় দিয়ে দিয়েছে। বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে ‘এতে প্রতীয়মান হয়, তিনি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নথি চু;রি করে এসব সংগ্রহ করেছেন’। আদালতে বিচারাধীন একটি বিষয়ে এভাবে ‘রায়’ দেয়া যায়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলে। জনগণের টাকা অ;পচয় করে, নিজেদের অ;পকর্ম ঢাকার এই অধিকার তাদেরকে দিলো সে প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি, আমাদের সাংবাদিকতার মালিকদের নীতি নৈতিকতাও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। এই বিজ্ঞাপনটি প্রকাশ না করলে কি পত্রিকার মালিকরা না খেয়ে মা;রা যেতেন?