বিয়ের আসরে এমন পরিস্থিতির জন্য কেউ তৈরি ছিল না। বর এসেছে বরযাত্রী নিয়ে। ব্যান্ড-বাদ্য বাজছে। চারধারে উৎসব। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও শুরু। মালাবিনিময় পর্বও শেষ। বিয়ের মুল আনুষ্ঠানিকতা শুরু করার সময় হঠাৎ দেখা গেলো বিয়ের মঞ্চে বর নেই! চারধারে খোঁজ খোঁজ। কিন্তু কোথাও বরের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। যাবে কিভাবে? বিয়ে করতে আসা বর যে পালিয়ে গেছেন!
বর ও কনে উভয়ের পরিবার হন্যে হয়ে খুঁজছে বরকে। কোনো লাভ হলো না। কয়েক ঘণ্টার পরিশ্রমের পর উভয় পক্ষের কাছে এটা স্পষ্ট হলো যে, বর বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে গেছেন। এরপরই আনন্দঘন আয়োজনে বিষাদ ছড়িয়ে পড়ে! -তাহলে বিয়ের কী হবে?
উভয়পক্ষের মুরব্বিরা বৈঠকে বসলেন। সেখান থেকে সম্ভাব্য সমাধানের চেষ্টা চললো। সেখানেই বরপক্ষের কাছ থেকে ব্যতিক্রমী একটা প্রস্তাব গেলো কনেপক্ষের কাছে। বলা হলো, বর পালিয়ে গেছে তো কী হয়েছে? আরও অনেক সুযোগ্য পাত্র আছে। এই বরযাত্রীদের মধ্যেই আছে তেমন সুযোগ পাত্র। কনেপক্ষ ‘হ্যাঁ’ বললেই সমস্যার সমাধান।
হতাশায় মুষড়ে পড়া কনেপক্ষ এই প্রস্তাব মেনে নিলো। বরযাত্রীদের মধ্যে থেকে সুযোগ্য একজনকে চটজলদি বিয়ের পোশাক পরানো হলো। বিয়ে হয়ে গেলো। পুরো বিয়ে বাড়িতে দুর্যোগের মেঘ সরে গিয়ে ফিরে এলো আনন্দের ঝিলিক। ব্যতিক্রমী এই বিয়ের ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরের মহারাজাপুরে।
এই ঘটনার পর বর এবং কনে উভয় পক্ষই স্থানীয় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। কনেপক্ষ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পালিয়ে যাওয়া বর ও তার পরিবারের শাস্তি দাবি করেছে। আর পলাতক বরের বাবা তার নিখোঁজ ছেলের সন্ধান চেয়েছেন পুলিশের কাছে।