প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে তাকে হে;ন;স্থা করা এবং তার বি;রু;দ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, তাকে আটকে রেখে কোন ধরনের নি;;র্যা;ত;ন বা আ;;ঘা;ত করা হয়নি।
তিনি বলেছেন, তার কাছে থাকা ফাইলগুলো ফেরত নেবার জন্য তাকে বড়জোর আধাঘণ্টা আ;টক রাখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এবং এরপর পুলিশ উপস্থিত হয়ে ঘটনার নিয়ন্ত্রণ নেয়।
ঢাকায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মি. মালেক এসব মন্তব্য করেন।
রোজিনা ইসলামেকে গ্রেপ্তারের ঘটনা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তার অবস্থান ব্যাখ্যা করতে সংবাদ সম্মেলন ডাকলেও সচিবালয়ে দায়িত্ব পালন করেন এমন সাংবাদিকরা তা বর্জন করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের দাবি, রোজিনা ইসলাম করোনাভাইরাসের টিকা সম্পর্কে রাশিয়া ও চীনের সাথে সম্প্রতি স্বাক্ষর করা চুক্তি বিষয়ক নথিপত্র নেবার চেষ্টা করছিলেন।
তিনি সাংবাদিকের জানিয়েছেন, “যে ফাইলগুলো সে নিয়েছে সেগুলো ছিল (করোনাভাইরাসের ) টিকা সংক্রান্ত। এগুলো গোপন নথি। আমরা রাশিয়ার সাথে যে টিকা চুক্তি করছি, চীনের সাথে চুক্তি করছি, এগুলো নন ডিসক্লোজার চুক্তি। আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে বলেছি যে আমরা এটা গোপন রাখবো।
“তো সেগুলো যদি বাইরে চলে যায় তাহলে রাষ্ট্রীয়ভাবে আমরা প্র;তিশ্রু;তি ভ;ঙ্গ করলাম এবং আমাদের তারা টিকা নাও দিতে পারে। এতে দেশের বিরাট ক্ষ;তি হতে পারে।”
গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরির চেষ্টা ও মোবাইল ফোনে ছবি তোলার অ;ভিযো;গে রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য সচিবের পিএস-এর কক্ষে পাঁচ ঘণ্টার মতো সময় আটকে রাখা হয় বলে অভি;যোগ ওঠে।
এরপর তাকে পুলিশের কাছে হ;স্তান্ত;র করা হয় এবং রাতেই তার বি;রু;দ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস আইনে মামলা করে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
সেই মামলার শুনানি শেষে আদালত আজ মঙ্গলবার রোজিনা ইসলামকে কা;রাগারে পাঠিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ঘটনার সময় তার কাছে যে খবর এসেছে তাতে তিনি জানতে পারেন যে, “একজন ব্যক্তি সচিবের পাশের রুমে যেখানে ফাইলগুলো ছিল সেখানে ঢুকে ফাইলের ছবি তুলছিল এবং কিছু ফাইলও উনি নিয়েছিল। তখন সেখানকার ডিউটি পুলিশ এসে দেখেছে যে একজন ব্যক্তি ওখানে ফাইলের ছবি তুলছে, কিছু ফাইল ব্যাগে ঢুকিয়েছে এবং শরীরেও ঢুকিয়েছে। তখন ডিউটি পুলিশ চিল্লাচিল্লি করলে আমাদের অফিসারেরা আসে।”
মন্ত্রী বলেছেন, বরং সাংবাদিক নিজেই মাটিতে পরে গড়াগড়ি খাচ্ছিল। তাকে সেই কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছিল না এবং তাতেই এত সময় লেগেছে।
একজন সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন যে বাংলাদেশে হুইসল ব্লোয়ার্স আইন অনুযায়ী কেউ দু;র্নীতি বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করলে তাকে বরং পুরস্কৃত করার কথা।
প্রায় ১০০ বছরের পুরনো একটি আইন অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা করা স্ববিরোধী আ;চরণ কিনা।
এর জবাবে মন্ত্রী বলেছেন, তিনি আইনজ্ঞ নন। সেই কক্ষে যা ঘটেছে তার প্রেক্ষিতে কথা বলতে হবে।
রোজিনা ইসলামকে সেই কক্ষে ঢুকতে বলা হয়েছে এবং বিষয়টি একটি ফাঁ;দ ছিল বলে সাংবাদিকরা দাবি করছেন। জাহিদ মালেক সে সম্পর্কে বলেছেন, “একটি খালি রুমে তিনি কেন ঢুকেছেন।”
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে রোজিনা ইসলামকে গ;লা চে;পে ধ;রে রেখেছেন সচিবালয়ের এক নারী কর্মকর্তা।
রোজিনা ইসলাম বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে অনিয়ম ও দু;র্নী;তি নিয়ে প্রতিবেদন করার জন্য নানা সময়ে আলোচিত হয়েছেন।
যিনি একজন অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার বলে পরে জানা গেছে। রোজিনা ইসলাম এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে মেঝেতে পরে যান এবং কয়েকবার বমি করেন।
ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেছেন, “ওখানে যেয়ে এইভাবে (ফাইল) নেবার কোন প্রয়োজন ছিল না। ”
মন্ত্রণালয়ের কেউ কোন অন্যায় করলে তাদের বিরু;দ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস দেন তিনি।
সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে আর একটি প্রশ্ন ছিল এত গুরুত্বপূর্ণ ফাইল কেন সচিবের পিএসের কক্ষে ছিল এবং সেই কক্ষে কোন ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ছিল না কেন।
এই প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ক্যামেরা বাইরে রয়েছে। কক্ষে তা থাকার কথা নয়।
রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে অনিয়ম ও দু;র্নী;তি নিয়ে প্রতিবেদন করার জন্য নানা সময়ে আলোচিত হয়েছেন।
প্রথম আলো পত্রিকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আ;ক্রো;শ থেকে” রোজিনা ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, অ;প;রা;ধ হলে বা না হলে আইনেই তার প্রমাণ হবে। কোন সাংবাদিকের প্রতি ব্যক্তিগত আ;ক্রো;শের বিষয়টি না;কচ করে দেন তিনি।