সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটারদের একের পর এক অভিযোগে উত্তাল পাকিস্তানের ক্রিকেট। বাঁহাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ ও স্পিনিং অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক কোনো রাখঢাক না রেখে, সরাসরিই স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বিরুদ্ধে।
এর আগে অপার সম্ভাবনাময় বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ আমির একই অভিযোগ তুলে পাকিস্তান ক্রিকেট থেকে নিজের নামই সরিয়ে নিয়েছেন। তাদের সঙ্গে এবার যোগ দিলেন সাবেক অধিনায়ক ও দেশটির ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদি।
তিনি তুলে ধরেছেন পাকিস্তান ক্রিকেটের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বিষয়টি। অবস্থা তখন এতটাই বেগতিক ছিল যে, ২০০৯ সালেই ক্রিকেট ছেড়ে দেয়ার কথা ভেবে ফেলেছিলেন আফ্রিদি। তাও কি না সতীর্থ খেলোয়াড় শোয়েব মালিককে অধিনায়কত্ব দেয়ার কারণে।
প্রায় এক যুগ পর এ ব্যাপারে কথা বলেছেন আফ্রিদি। ২০০৯ সালে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান। ফাইনালে দুর্দান্ত খেলেন আফ্রিদি। অথচ সে বছরই কি না বোর্ডের নানান বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে খেলা ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন তখনকার অন্যতম সেরা এ অলরাউন্ডার।
পাকিস্তানি টেলিভিশন সামা টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আফ্রিদি বলেছেন, ‘আমি আর কখনও ক্রিকেট না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম। শোয়েব মালিককে অধিনায়কত্ব দেয়া হয়েছিল এবং দলের মধ্যে অনেক রাজনীতি চলছিল।’
তবে এরপর এক বিজ্ঞ লোকের পরামর্শে খেলা চালিয়ে নেন আফ্রিদি, ‘এক ব্যক্তি আমাকে বলেছিলেন, তুমি তোমার পারফরম্যান্স এবং জাগতিক বিষয়গুলো নিয়ে অনেক বেশি চিন্তা করছো। তুমি তোমার কষ্টগুলোর সঙ্গে মহানবী (সঃ) এর কষ্টগুলোর তুলনা করো। বুঝতে পারবে তোমারগুলো কিছুই নয়।’