বরকে বিয়ের আসরেই ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিলেন কনে!

বিয়ের দিন বরের জুতা লু’কাবে শালীরা, বরেরা একথা ভালো করে জেনে তবেই বিয়ে করতে আসেন। লবণ পানি খাওয়ানো থেকে ঝাল মিষ্টি, সঙ্গে জুতো চু’রি…বিয়ের বাকি নিয়মের সঙ্গেই এই মজাগুলোও ঐতিহ্য মেনে হয়ে আসছে। টাকা দিলে তবেই নিস্তা’র।

শালীরা জুতা লুকি’য়েছে বলে হবু জামাই তাদের গা’লিগালা’জ করেছে, চো’র বলে অপমা’ন করেছে এমনকী থাপ্প’ড়ও মে’রেছে এমনটা আগে শোনা যায়নি। দিল্লির ২২ বছরের যুবক বিবেক কুমার বিয়ে করতে গিয়েছিলেন মুজফফরনগরে।

বরযাত্রীসহ বর পৌঁছতেই শালীরা জুতো লুকি’য়ে ম’জা শুরু করে। এতেই তিনি ভ’য়ান’ক ক্ষে’পে গিয়ে মেয়ের বাড়ির সদস্যদের গা’লিগালা’জ করেন। চো’র বলে অপ’মান করেন। শুধু তাই নয়, কথা কা’টাকা’টির সময় এক মহিলার গায়ে হাতও তোলেন।

এরপরই সেখানে এসে হাজির হন কনে। পুরো ঘটনাটি শুনে তিনি হবু বরকে বলেন পণের ১০ লাখ টাকা ফিরিয়ে বরযাত্রী নিয়ে এক্ষুণি যেন বিদায় নেয়।

যদিও বর কিছুতেই বিয়ের আসর ছেড়ে যেতে চাইছিল না। মেয়ের সম্মতিতে তার বাড়ির লোকেরাই ছেলেকে ঘাড় ধা’ক্কা দিয়ে বের করে দেন। তার আগে অবশ্য পণের ১০ লাখ টাকার থেকে কিছুটা আদায় করে নেন। বিয়েবাড়িতে উপস্থিত বাকি অতিথিদের তারা যথাযথ আপ্যায়নও করে।

এরপর মুজাফফরনগর থানায় দুই পরিবারের পক্ষে একটি অভিযোগ দায়ের হয়। যদিও পাড়ার অনেক মাতব্বর মেয়েকে বিয়েতে রাজি করানোর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন, কিন্তু তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এমন গু’ণ্ডাকে তিনি বিয়ে করতে রাজি নন।

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার মিরপুরে আলমগীর মণ্ডল নামে এক যুবক কু’ড়িয়ে পাওয়া টাকা ফেরত দিলেন। টাকার প্রকৃত মালিক খুঁ’জতে রবিবার দিনভর করেন মাইকিং। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পৌর বাসস্ট্যান্ড বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। আলমগীর মণ্ডল মিরপুর উপজেলার পৌর বাজারের হাজী ফার্মেসির মালিক।

আলমগীর মণ্ডল জানান, শনিবার মিরপুর উপজেলার পৌর বাসস্ট্যান্ড বাজারের রাস্তায় ভাঁ’জ করা সাত হাজার টাকা কু’ড়িয়ে পাই। পরে টাকাগুলোর প্রকৃত মালিক খুঁ’জতে থাকি। অনেক খোঁ’জাখুঁ’জি করেও টাকার মালিক না পেয়ে শনিবার সন্ধ্যায় মসজিদের মাইকে বলায়।

পরে রবিবার দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করি। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার চিথলিয়া এলাকার রইচ উদ্দিন নামে এক ব্যাক্তি টাকার মালিক বলে দাবি করেন। তিনি সঠিক তথ্য ও উপযুক্ত প্রমাণ দেন। পরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে তাকে টাকা ফেরত দিয়েছি।

রইচ উদ্দিন জানান, এলাকায় কাজ না থাকায় বেশ কয়েকদিন আগে ফরিদপুরে যাই শ্রমিকের কাজ করতে। শনিবার কাজ করে ফেরার পথে টাকাগুলো পড়ে যায়। আজকে মাইকিংয়ে টাকার খবর শুনে আসি। এসে আমি আমার টাকা ফেরত পেয়েছি। এ যুগে এমন মানুষ বিরল বলেও জানান রইচ উদ্দিন।