গঙ্গা-যমুনায় ভাসছে ‘কোভিড দেহ’, মুখ খুললেন তসলিমা

গঙ্গা-যমুনায় দেড়শোরও বেশি মৃত দেহ ভাসতে দেখা গিয়েছে। দেহগুলি করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ বলেই জল্পনা৷ যা দেখে হাড় হিম দেশবাসীর৷ এই ঘটনায় এ বার মুখ খুললেন বাংলাদেশের বিখ্যাত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। টুইটে তসলিমা লিখেছেন, ‘‘ডজন ডজন দেহ গঙ্গা-যমুনায় ভেসে বেড়াচ্ছে । সত্যিই অদ্ভুত এক দুনিয়ায় বাস করছি আমরা।’’ সদ্যই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তসলিমা। বাড়িতেই নিভৃতবাসে রয়েছেন তিনি।

গঙ্গায় ভাসছে প’চা, গ’লা দে’হ । কোনওটা আবার অর্ধেক পো;ড়া । সোমবার এই ছবি দেখা গিয়েছে বক্সার জেলার চৌসায়। আশ;ঙ্কা করা হচ্ছে, যাঁদের দেহ মিলেছে, তাঁরা প্রত্যেকেই করোনা আক্রান্ত। যার ফলে রীতিমতো উ;ত্তেজ;না ছড়ায় ওই এলাকায়।স্থানীয়দের অনুমান, গঙ্গার উল্টো পাড়ে উত্তরপ্রদেশ, ওই দিক দিয়েই ভেসে এসেছে দেহগুলি। কারণ তাঁদের দাবি, এই এলাকায় একসঙ্গে এত মানুষের মৃত্যু হওয়া সম্ভব নয়। স্থানীয় প্রশাসনের ধারণা, বিভিন্ন করোনা আক্রান্তদের মৃ;তদেহ যা তাঁদের পরিবার দা;হ করতে কিম্বা শেষকৃত্য করতে পারেননি, তাঁরাই নিজের পরিজনের মৃ;তদেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়েছেন ৷

প্রসঙ্গত, রবিবার যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) রাজ্যের হমিরপুর জেলায় এমনই ভয় ধরানো দৃশ্য চোখে পড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনায় রাতের ঘুম উড়েছে স্থানীয়দের। করোনা আবহে মৃ;তে;র স্তূপ, গ;ণচি;তার সাক্ষী হয়েছে দেশ। এমন পরিস্থিতিতে তাই অনেকেরই আ;শঙ্কা, যমুনায় ভাসতে থাকা মৃ;তদেহগু;লি করোনা আক্রান্তদের হতে পারে। আর তেমনটা হলে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়বে সংক্রমণ।

চৌসার জেলা প্রশাসনের এক অফিসার অশোক কুমার জানিয়েছেন, চৌসার মহাদেব ঘাটে অন্তত ৪০ থেকে ৫০টি দে;হ ভেসে উঠেছে। আর এক শীর্ষ অফিসার কে কে উপাধ্যায় জানিয়েছেন, পাঁচ থেকে সাতদিন দেহগুলো জলে ভাসছে। উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ, এলাহাবাদ না বারাণসী, কোথা থেকে সেসব ভেসে আসছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে দেহ অবশ্যই বিহারের নয়। কারণ এখানে দেহ জলে ভাসিয়ে দেওয়ার রীতি নেই।

এই ঘটনা দেখে সমাজকর্মী মীরাতুন নাহার বলেছেন, “গোটা দেশবাসী আ;ত;ঙ্কিত৷ এই ঘটনার স্পষ্ট, দেশের কোনও সরকারই সাধারণ মানুষের সরকার নয়৷”