মুনিয়ার মৃ’ত্যু রহস্য উ’দঘাটনে গুলশানের সেই ভবনের মালিকের মেয়ে ও মেয়ে জামাই, ম্যানেজার ও দারোয়ানসহ মোট সাত জনের জ’বানব’ন্দি নিয়েছে পুলিশ। ময়’না ত’দন্তের প্রাথ’মিক প্রতিবেদনও এসেছে পুলিশের হাতে। তবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আসতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একাত্তর টিভি মেয়ের জামাই পুলিশকে জানিয়েছেন, বাসাটি তার শাশুড়ির।
তিনি অসুস্থ থাকায় তারা তার দেখাশুনা করেন। যেদিন মুনিয়ার লা’শ উ’দ্ধার হয় সেদিন ভোর চারটা থেকে সকাল নয়টার মধ্যে মুনিয়া তার স্ত্রীর কাছে যশোরে যেতে একটি গাড়ি চেয়েছিলেন। মুনিয়ার বড় ভাই আশিকুর রহমান সবুজ জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের বি’রুদ্ধে মা’ম’লা করার পর থেকে লাপা’ত্তা। গেলো ২৮ শে এপ্রিল কুমিল্লায় মুনিয়ার দা’ফ’নের পর সবুজ বলেছিলেন, তার বোনকে হ’ত্যা ক’রা হ’য়েছে।
তিনি বলেন, বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীর মূল হ’ত্যা’কা’রী। তাকে গ্রে’প্তার করে কঠিন শা’স্তি দেয়ার দাবি করছি।কিন্তু এর তিনদিন পরই ২ মে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তিনি জাতীয় সংসদের হুইপের ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের বি’রুদ্ধে মুনিয়াকে হ’ত্যার অ’ভিযোগ আ’নেন।
অনেক চেষ্টার পরও আশিকুর রহমান সবুজের কোন বক্তব্য নিতে পারেনি সাংবাদিকরা। এরপর থেকেই তার দুটি ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। কুমিল্লা উজির দিঘির পাড়ের সেতারা সদনে সপরিবারে ভাড়া বাসায় থাকেন সবুজ। মা’মলার পর থেকেই তার বাসায় তা’লা ঝু’লছে। তার স্ত্রীর ফোনও ব’ন্ধ পাওয়া যায়। এলাকাবাসী জানায়, বোনের দা’ফনের পর থেকে আর দেখা যায়নি সবুজকে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার লালবাগের জগপুরে সবুজের শ্বশুরবাড়ি। তিনি ও তার স্ত্রী সেখানেও নেই। মুনিয়ার বড় বোন তানিয়া দাবি করেছেন গেলো কয়েক বছর ধরেই ভাইয়ের সঙ্গে তাদের পারিবারিক ঝা’মে’লা চলছে।তিনি বলেন, যদি হ’ত্যা মা’ম’লা করতেই হত তাহলে বসুন্ধরার গ্রুপের ফ্যামিলি বা আনভীরের বিরুদ্ধে আ’রেকটা হ’ত্যা মা’ম’লা হওয়ার কথা।
কিন্তু আরেকজন মানুষ কে বা কোথায় থেকে আসছে তা আমার জানা নেই। এমনও হতে পারে সে বসুন্ধরার গ্রুপের সাথে কম্প্রোমাইজ করেছে কোন কিছু নিয়ে।হঠাৎ করে ভাইয়ের এমন মা’মলাকে তিনি ষ’ড়য’ন্ত্র হিসেবে অ’ভিহিত করেছেন।