ভারতের আসাম রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত জয় পেয়েছে কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা দল বিজেপি। কিন্তু জয়েও স্ব;স্তি নেই দলটির। কারণ রাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় ভোটার টানতে পারেননি তারা। সেখানে আট মুসলিম প্রার্থীর সবাই ভ;রাডু;বি করেছেন দলকে। তাই ক্ষো;ভে ‘সংখ্যালঘু মোর্চা’ জোটকেই ভে;ঙে দিলো বিজেপি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামের ১২৬টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৮ জন মুসলিম প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি। প্রত্যেকটাতেই ল;জ্জাজ;নক হা;র হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। ল;জ্জায় মাথা কা;টা গেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের। তাই ঢাকঢোল পি;টি;য়ে মুসলিম ভোট টানার জন্য তৈরি করা ‘সংখ্যাল;ঘু মোর্চা’ তুলেই দিল ভারতীয় জনতা পার্টি।
জানা গিয়েছে, মুসলিম অধ্যু;ষিত আসনগুলোর বেশীরভাগ বুথে ২০টিরও কম ভোট পেয়েছেন দলের প্রার্থীরা। এই সংখ্যা বিজেপির বুথ কমিটির সদস্যদের থেকেও কম। তার জেরে বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি।
একটি বিবৃতিতে আসামের বিজেপি সভাপতি রঞ্জিত দাস জানিয়েছেন, আমাদের অনেক মোর্চা আছে। যেমন, -মহিলা, যুব, নিচুজাত (এসটি) এবং অন্যান্য। তেমনি সংখ্যালঘু মোর্চাও রয়েছে। আমরা সংখ্যালঘু আসনগুলোয় মুসলিম প্রার্থী দিয়েছিলাম। ওই সমস্ত এলাকায় বহু বুথে প্রার্থীরা ২০টি ভোটও পাননি। যেখানে এর থেকেও বেশি সংখ্যায় রয়েছে বুথ কমিটির সদস্য সংখ্যা। তার মানে দলের কর্মীরাই বিশ্বাস ভ;ঙ্গ করেছেন। তাই রাজ্য ও জেলা স্তরের সংখ্যালঘু মোর্চা কমিটি ভে;ঙে ফেলা হলো।
এ বিষয়ে আসাম বিজেপির সংখ্যাল;ঘু মো;র্চার মুখতার হোসেন খান শুক্রবার বলেছেন, কোনো সংগঠন ভে;ঙে দেওয়া হলো তা আমি জানি না। আমার কাছ থেকে এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
একুশের আসাম বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পেয়েছে ৭৫টি আসন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মহাজোট জিতেছে ৫০টি আসনে এবং একটি আসনে জয়ী হয়েছেন জেলব;ন্দি সমাজকর্মী অখিল গগৈ। যেখানে বিজেপি জোটের ৮ জন মুসলিম প্রার্থীই হেরেছেন, সেখানে কংগ্রেসের জোটের ৩১ জন মুসলিম প্রার্থী ভোটে জিতেছেন।
উল্লেখ্য, ভারতের পাঁচ রাজ্যে একসাথেই শুরু হয়েছিল বিধানসভা নির্বাচন। ২ মে ফল ঘোষণার দিন দেখা গেল শুধুমাত্র আসাম ও পদুচেরিতেই বিজেপি ক্ষমতায় ফিরেছে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ুতে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে দলটি। তবে পশ্চিমবঙ্গে গতবারের তুলনায় ফল ভালো করেছে বিজেপি।
গতবার বাংলায় যেখানে ৩টি আসন পেয়েছিল সেখানে এবার ৭৭টি আসন পেয়েছে। তবে পাঁচ রাজ্যের মধ্যে মোদি-শাহ-যোগীসহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতারা যেভাবে বাংলার মাটি কামড়ে পড়েছিল তাতে বিজেপির নৈতিক হার বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।