ভারতে ভ’য়াব’হ করোনা সংক্রমণের মাঝে বন্ধ হয়ে গেছে আইপিএল। বিরাট কোহলিরা এখন অপ্রত্যাশিত ছুটিতে আছেন। দেশে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা; প্রতিদিন বড় হচ্ছে মৃ’ত্যুর মিছিল। এর মাঝেই কয়েক দিন পর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের লর্ডসে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত আর নিউজিল্যান্ড।
এর পরই আছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। ইংল্যান্ডে যাওয়ার আগে টিকা নিতে যাচ্ছেন বিরাট কোহলিরা। তবে সেটা ভারতে উদ্ভাবিত টিকা নয়। ভারতের ‘সেরাম ইনস্টিটিউট’ বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবিত যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘কোভিশিল্ড’ টিকার প্রযুক্তি এনে ভারতেই টিকা উৎপাদন করছে।
অন্যদিকে ভারত বায়োটেক উদ্ভাবন করেছে তাদের নিজস্ব টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’। ভারতের জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে দুটি টিকাই ব্যবহৃত হচ্ছে। ১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব ব্যক্তিরা এই টিকা পাচ্ছেন। জানা গেছে, ভারতীয় ক্রিকেটারদের ‘কোভ্যাক্সিনের’ বদলে দেওয়া হবে ‘কোভিশিল্ড’ টিকা। কিন্তু কেন?
কোহলিদের আসন্ন ইংল্যান্ড সফরের দৈর্ঘ্য হতে যাচ্ছে চার মাস। ইংল্যান্ডে যাওয়ার আগেই তাদের প্রথম দফার কভিড ভ্যাক্সিন নিতে হবে। এ পর্যন্ত উদ্ভাবিত বিশ্বের সব টিকাই দুই দফায় নিতে হচ্ছে। যে কারণে ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে যখন দ্বিতীয় ডোজের সময় হবে, তখন কোহলিরা থাকবেন ইংল্যান্ডের মাটিতে।
সেখানে ‘কোভ্যাক্সিন’ জোগাড় করা কঠিন; কিন্তু অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘কোভিশিল্ড’ জোগাড় করা খুবই সহজ। তাই কোহলিরা নিজের দেশের টিকার বদলে ইংল্যান্ডের টিকা নিচ্ছেন। আইপিএল স্থগিত না হলে কোহলিরা জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে ‘কোভ্যাক্সিন’ টিকাই গ্রহণ করতেন।