তরমুজের পিস ১০০

কেজি হিসেবে নয়, একেবারে আস্ত তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। তাতে নাগালের মধ্যে থাকায় দরদাম করা ছাড়াই ক্রেতারা কিনে নিচ্ছেন গ্রীষ্মের রসালো ফলটি। শুক্রবার (৭ মে) রাজধানীর মিরপুরের পূরবী সিনেমা হল সংলগ্ন বাজারের গলিতে জনপ্রিয় ফলটি পিস হিসেবে বিক্রি হতে দেখা যায়। বিক্রেতারা জানান, বাজারে তরমুজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। আর কেজি হিসেবে বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় পিস হিসেবে বিক্রি করছি।

বাজারে দেখা যায়, ক্রেতা আকর্ষণে কোনো কোনো বিক্রেতা পিস ১০০ বলে হাঁকডাক দিচ্ছেন। ভেতরে লাল রং ও সুমিষ্ট হওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েও তরমুজ বিক্রি করছেন। কোনো ক্রেতার সন্দেহ হলে তরমুজের একাংশ কেটে দেখিয়ে দিচ্ছেন। তাতে তরমুজের রং ও দাম মিলিয়ে সন্তুষ্টি নিয়ে ফিরছেন ক্রেতা।

তরমুজ বিক্রেতা বিদ্যুৎ বলেন, গত কয়েকদিন আড়তে তরমুজের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি ছিল। এখন যানবাহন পুরোদমে চালু হওয়ায় মিরপুর-১ নম্বরের আড়তে প্রচুর মাল এসেছে, তাই দামও কমেছে।

ভ্যানে থাকা প্রতিটি তরমুজের ওজন সাড়ে ৩ থেকে ৪ কেজি জানিয়ে এ বিক্রেতা আরও বলেন, এমন ওজনের আগে প্রতিটি তরমুজের দাম ১২০ টাকা পড়তো, বিক্রি হতো ১৫০-১৬০ টাকায়। সরবরাহ বাড়ায় এখন আমরা পিস কিনছি ৭০-৮০ টাকায়। বিক্রি করছি ১০০ টাকায়।

আরেক বিক্রেতা আবদুল্লাহ বলেন, তরমুজের পিস ১০০ টাকায় বিক্রি করায় ক্রেতার সাড়াও ভালো। আমরা কম দামে কিনতে পারলে বিক্রিও কমে করি।

বিক্রেতারা জানান, বাজারে এখন যে তরমুজ মিলছে তার বেশিরভাগ খুলনা অঞ্চলের। এসব তরমুজের আকার ও ওজন প্রায় কাছাকাছি। এছাড়া বাজারে ফলের রাজা আমসহ গ্রীষ্মের রসালো অন্য ফল আসায় ক্রেতাদের কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে তরমুজ।