মুনিয়ার মৃ;;ত্যু- এবার উল্টো ফেঁসে যাচ্ছেন বোন নুসরাত ও তার স্বামী

গত ২৬ এপ্রিল গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়া নামে এক ত’রু;ণীর লা’;;শ উ’দ্ধা;র করে পু’লিশ। পরে এ ঘ’ট;নায় মুনিয়ার বড় বোন বাদি হয়ে গুলশান থা’নায় প্র’রোচ;নার অ’ভি;যোগ এনে একটি মা’মলা দা’য়ের করে। মা’মলায় একমাত্র আ’সা;মি করা হয় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে।

গুলশানের বাসাটি মুনিয়ার বোন নুসরাত ও তার স্বামীর জাতীয় প’রিচয়পত্র দিয়ে মাসিক এক লাখ টাকায় ভাড়া নেওয়া হলেও এর ভাড়া পরিশো’ধ করতেন আনভীর। ফেসবুকে একটি ছবি আপলোড করাকে কেন্দ্র করে সায়েম সোবহান আনভীর তার বোনের (মুনিয়া) ওপর ক্ষু’;;ব্ধ হয়। আনভীরের প্র’রোচ;নায় তার বোন নিজের জীবন শে’ষ করেছে বলে তিনি মা’মলায় অ’ভিযো;গ করেন।

এদিকে গুলশানের যে বাসায় থাকতেন মোসারাত জাহান মুনিয়া সেই ফ্ল্যাটটি কে ভাড়া নিয়েছিলেন? কার ত’থ্য দেওয়া ছিল ‘ভাড়াটিয়া ফর্মে’? অনুস’ন্ধানে জানা গেছে, গুলশান-২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেওয়ার ভাড়াটিয়া ফর্মে ত’থ্য ছিল মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত ও তার স্বামীর।

তাদের দুজনের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ফটোকপি ওই ফর্মের স’ঙ্গে গেঁথে দেওয়া হয়েছিল। আগাম ভাড়াও পরি;শো’ধ করেছিলেন তারা। শনিবার বিকালে মুঠোফোন আ;লাপে নুসরাত নিজেও বিষয়টির স’ত্যতা স্বীকার করেছেন।

তবে তিনি দা’বি করেছেন, বাসা ভাড়া নিতে মুনিয়াকে ‘সাহায্য করতে’ তিনি বা’ধ্য হয়েছিলেন। মা’মলার ত’দ;ন্তে নিয়োজিত কর্মক’র্তা জানিয়েছেন, তারাও বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছেন।

অনুস’ন্ধানে জানা যায়, ফ্ল্যাট ভাড়ার দুই মাসের অগ্রিম দুই লাখ টাকা ‘মুনিয়ার ব্যাংক হিসাব’ থেকে তুলে এনেছিলেন মুনিয়া ও তার বোন নুসরাত। ভাড়া নেওয়ার জন্য নুসরাত বাড়ির মালিকপক্ষকে জানান, তিনি (নুসরাত), তার স্বামী ও ছোট্ট বোনকে (মুনিয়া) নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে থাকবেন।

নুসরাত জানান, বাড়িভাড়ার জন্য যে টাকা অগ্রিম দিতে হয়েছে এই টাকা দেওয়ার অবস্থা তাদের নেই। মুনিয়ার ব্যাংক হিসাবে লাখ লাখ টাকা কোথা থেকে এলো, সেই উৎস কি তারা জানতেন? জবাবে নুসরাত দা’বি করেন, তিনি এর কিছুই জানতেন না।

বাসাটি তিনি ভাড়া করে দিয়েছিলেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে নুসরাত বলেন, ‘আমি ভাড়া করে দিইনি বা নিইনি। আমি বাসা ভাড়া নিবো কেন? মুনিয়া আমাকে ও আমার হাজবেন্ডকে বাড়িভাড়া নেবার সময় থাকতে বা’ধ্য করেছিল। বলেছিল আমাকে বাসাটা নিতে হেল্প করো।

তাই আমরা ওর (মুনিয়া) স’ঙ্গে ছিলাম। এসময় আমার ও আমার হাজবেন্ডের ভোটার আইডি কার্ড ভাড়াটিয়া ফর্মের স’ঙ্গে দিয়েছিলাম। তবে আমরা ওই ফর্মে তখন সই করিনি।’ ভাড়ার টাকা আপনি নিজের ব্যাগ থেকে দিয়েছিলেন?

এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘টাকা তো আমার কাছে থাকতেই পারে। হ্যাঁ, আমি দিয়েছিলাম। ও অগ্রিম বাসা ভাড়া দেবার জন্য যখন ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছিল, তখন আমাকে টাকাগুলো দিয়েছিল। মুনিয়া ‘হ্যান্ডপার্স’ নিয়েছিল। সেখানে তো এতগুলো টাকা রাখার জায়গা হয় না।

তাই, আমাকে সেই টাকাগুলো দিয়েছিল। আর এই টাকা মুনিয়ার ব্যাংক হিসাব থেকে ক্যাশ করা হয়েছিল। সেগুলো তার একাউন্টে রাখা হয়েছিল।’ তবে সেগুলো কিসের টাকা বা কোথা থেকে এসেছে তা তিনি জানেন না বলে দা’বি করেছেন।

বাসা ভাড়া ঠিক করা সময় উপস্থিত একটি সূত্রে জানা গেছে, নুসরাত ফ্ল্যাট মালিককে জানিয়েছিল তিনি, তার স্বামী মিজানুর রহমান সানি ও ছোট্ট বোন মুনিয়াকে নিয়ে থাকবেন। এই শর্তেই তাদেরকে ফ্লাট ভাড়া দেওয়া হয়।