মুনিয়ার ডায়েরিতেই বেরিয়ে এল বসুন্ধরার এমডির অবিশ্বাসের গল্প

রাজধানী গুলশানের অভি;জাত ফ্ল্যাট থেকে কলেজ শিক্ষার্থী মুসারাত জাহান মুনিয়ার ম;;রদে;হ উ’দ্ধা’রের পরই আলো’চনায় আসে বাসায় সিসি টি’ভির ফুটেজ আর মুনিয়ার হাতে লেখা ডায়েরিসহ বেশকিছু ডিভাইসের কথা। ঘ;টনার পরে তার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়াও জানান, নিত্যদিনের ঘটনা লিখে রাখা মুনিয়ার অভ্যাস ছিল।

পুলিশও জানিয়েছে, মুনিয়ার লেখা ডায়েরিতেও আসামির স’ঙ্গে তার সম্প’র্কের টা’নাপো’ড়েন এবং সম্প’র্কের স্বীকৃতি আদায়ের বিষয়ে নানা বর্ণনার উল্লেখ রয়েছে। এ অবস্থায় নি;;হ;ত মুনিয়ার লেখা ছয়টি ডায়েরির কিছু অংশ এসেছে সময় সংবাদের হাতে। ডায়েরি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীর আর মুনিয়ার গ;ভীর প্রেমের সম্প’র্কের কথা রয়েছে ডায়েরির প্রতিটি পাতায় পাতায়।

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ তারিখে মুনিয়া লেখেন, ‘আজকে আনভীরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি। জানি না, তবে সারাদিন তাকে নিয়ে ভাবি হয়তো তাই।’একই বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে লেখেন, ‘আজকে তার (আনভীর) কিছু পিচ্ছিাকালের ছবি পাঠালো দেখেই মা’য়া লাগছিল।’ এভাবেই ডায়েরির প্রতিটি পরতে পরতে আনভীরের প্রতি ভালোবাসার প্রকা’শ ঘটান মুনিয়া।

তবে সময় গড়ালে ভালোবাসার মধ্যে অ’ভিমা’ন আর ক;;ষ্টের কথা যোগ করেন মুনিয়া। ২০২০ এর নভেম্বর মাসের ২৯ তারিখে আনভীরকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, ‘তাকে দেয়ার মতো সত্যিকারের ভালোবাসা ছাড়া কিছুই নাই। যা তিনি কোনোদিন বোঝে না আর বুঝলেই কী এইগুলোর কোনো মূল্য নেই।’

আনভীরের ফেসবুকের বিভিন্ন বিষয় নিয়েও বর্ণনা করেন ‍মুনিয়া। আনভীরের একটি ছবি প্রাইভেট করতে বললে আনভীর তাকে বলে, ‘তুমি আমার সব খেয়াল রাখ।’ বসুন্ধরার এমডি আনভীরের পরিবারের প্রতি সন্মানের কথা জানিয়ে নিজের পরিবারের ক;’ষ্টের কথাও লেখেন মুনিয়া। নিজ পরিবারে কোনোদিন শান্তি না পাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন মুনিয়া।

এদিকে, মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া ডায়েরি ছাড়াও অন্য ডি’ভাই’সগুলোকে আমলে নেয়ার জন্য আ;ইনশৃ;ঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ওর ডিভাইসের মধ্যে অনেক এ’ভিডে’ন্স আছে।

এগুলো এখনও হয়তো মিডিয়ার কাছে আসেনি। হয়তো ওইটা নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। এই মেয়েটার হ;;ত্যার বি’চার হলে কালকে আপনার মেয়ে সুরক্ষি’ত থাকবে।’ পুলিশ বলছে, মুনিয়ার ডায়েরিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই তদ’ন্ত করছেন তারা।ঢাকা মেট্রোপলিট্রন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন,

‘এটা আমরা মনে করছি অ’ত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং চরম মানষিক হ’তা’শার জন্য সে এই পর্যায়ে এসে ‘আ;ত্মহ;;ত্যাকে বেছে নিয়েছিল এই বিষয়টাকে সংজ্ঞায়িত করা, এই বিষয়গুলোকে প্রতিষ্ঠা করা এবং এই বিষয়গুলোকে সাক্ষ্য গ্রহণের নিরিখে এইগুলোকে প্রমাণ করার জন্য আরও যে যে সাক্ষ্য প্রমাণ দরকার সেগুলো সংগ্রহের জন্য আমরা চেষ্টায় আছি।’

নিজের পরিবারের সমস্যার কথা আনভীরকে জানালে কোনও গুরুত্ব না দেয়ার কথা ডায়েরিতে বিভিন্ন সময়ে উল্লেখ করেন মুনিয়া। এ বিষয়ে মুনিয়া লিখেন, ‘পরিশেষে আমার সম’স্যাটা বললাম কিন্তু তার তেমন কোনো গুরুত্ব দেখলাম না।’ সুত্র: সময়নিউজ