সোবহান পরিবারে চা;ঞ্চল্যক;র যত খু;;ন

সম্প্রতি গুলশানে একটি ফ্লাটে ত;রুণী হ;;ত্যার ঘট;নায় আবারো নাম উঠেছে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিক আহমেদ আকবর সোবহান পরিবারের। জানা যায়, আকবার সুবহানের পুত্র বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরই এই হ;;ত্যাকা;ণ্ড ঘ;টিয়েছে।

গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে এক কলেজ শিক্ষার্থীর ম;;রদে;হ উ;দ্ধার করেছে পুলিশ। পরের দিন ভোরে ওই শিক্ষার্থী বড় বোন বা;দী হয়ে ‘আ;ত্মহ;;ত্যায় প্ররোচনা দেওয়া’র অ;ভি;যোগ এনে বসুন্ধরার এমডির বি;রু;দ্ধে মামলা দায়ের করেন।

কিন্তু আসলে আ;ত্মহ;;ত্যা নয় এটি একটি হ;;ত্যাকা;ণ্ড। সূত্র জানা যায় বিভিন্ন সময় বন্ধুদের নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে পার্টি করতে আসতো আনভীর। হ;;ত্যাকা;ণ্ডের আগের দিন সন্ধ্যায়ও তার বন্ধুদের নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। পরে ইফতার পার্টির ছবি মুনিয়া ফেসবুকে আপলোড করলে তা মুছে ফেলতে বলে আনভীর। এরপর মুছতে না চাইলে বিভিন্নভাবে হু;;ম;কি দিতে থাকে তানভীর।

এরপরের দিন সকালে ওই কলেজ ছাত্রীকে ফাঁ;সা;তে ৫০ লাখ টাকা চুরির মিথ্যা নাটক সাজায় আনভীর। ফোন দিয়ে মুনিয়োকে ৫০ লাখ টাকা ফেরৎ দেয়ার হু;;ম;কিও দেয়। এরপর সোমবার সন্ধ্যায় ম;;রদে;হ উ;দ্ধারের করে মুনিয়ার বোন।

শুধু মুনিয়া হ;;ত্যা নয় এর আগেও এমন চা;ঞ্চ;ল্যকর হ;;ত্যাকা;ণ্ড ঘ;টি;য়েছে এই আনভীর পরিবারের সদস্যরা। এর আগে ২০০৬ সালের ৪ জুলাই গুলশানের একটা বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে হ;;ত্যা করা হয় বসুন্ধরা টেলিকমিউনিকেশসন্স নেটওয়ার্ক লিমিটেডের পরিচালক সাব্বিরকে। এই হ;;ত্যাকা;ণ্ড ঘ;টি;য়েছিলো তারই বড়োভাই সাফিয়াত সোবহান সানবীর।

এই সময় হ;;ত্যাকা;ণ্ড ধা;মাচা;পা দিতে ঘু;;ষ-লেনদেনের অভি;যোগে দুদক বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহ আলমসহ তার দুই ছেলের বি;রু;দ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পরবর্তিতে রাষ্ট্রপক্ষের সহা;য়তায় তারা খা;লাশ পান।

এছাড়া, বাড়ির কর্মচারীকে হ;;ত্যার অভি;যোগ রয়েছে এই শাহ আলম পরিবার সদস্যদের বি;রু;দ্ধে। এ ঘট;নায় তার দুই ছেলে হলেন-সাফিয়াত সোবহান এবং সাদাত সোবহান জড়ি;ত ছিলেন।

এদিকে মুনিয়া হ;;ত্যার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশের পর সোমবার সন্ধ্যা ৭ টায় একটি কার্গো বিমানে করে দেশ থেকে পা;লি;য়ে গেছে আনভীর। বিমানবন্দর কতৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত কিরেছে।

অন্যদিকে আ;সা;মী দেশত্যাগের পর দেশ ছাড়তে নি;ষেধা;জ্ঞা দিয়েছে আদালত। মুনিয়ার বড়ো বোনের করা মামলায় ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে গুলশান থানার নিবন্ধন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন এই নি;ষেধা;জ্ঞা দেন।

তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের দেশত্যাগে নি;ষেধা;জ্ঞা চেয়ে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আবেদন করেছিলেন গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা আবুল হাসান। আদালত আবেদনটি ম;ঞ্জুর করেছেন। সেই সঙ্গে ইমিগ্রেশন পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন— সায়েম সোবহান আনভীর যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন।’

এছাড়া মামলা সূত্রে জানা যায়, মেয়েটির সঙ্গে আনভীরের সম্পর্ক দুই বছরের। ওই ব্যবসায়ী এক বছর মেয়েটিকে বনানীর একটি ফ্ল্যাটে রাখেন। গত মার্চে গুলশানের এই ফ্ল্যাটে ওঠেন মেয়েটি। গত ২৩শে এপ্রিল ইফতার পার্টি হয় ওই বাসায়।

ওই পার্টির ছবি ফেসবুকে আপলোড করা নিয়ে মুনিয়ার সঙ্গে আনভীরের মনোমালিন্য হয়। পরে মেয়েটি তার বোনকে ফোন করে জানান, তিনি ঝা;মেলায় পড়েছেন। এরপরই কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসে ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে মিনিয়ার বোন নুসরাত ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ পান। পরে মুনিয়াকে সিলিং ফ্যা;নের সা;থে ঝু;;ল;ন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।