করোনা ঠেকাতে লাঠি হাতে নারী বাহিনী!

করো’নার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিশেহারা ভারত। দেশটিতে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজারের বেশি মানুষ করো’নায় আ’ক্রা’ন্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন। করো’নার সং’ক্রম’ণ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না প্রায় কেউই। দেশটির প্রত্যেক জেলা এমনকি গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে করো’না ভা’রাস।

ভারতে করো’নার এমন প্র’কোপের মধ্যেও মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলার অন্তর্গত চিলাখার গ্রামে এখন পর্যন্ত একজনও করো’না আ’ক্রা’ন্ত শনা’ক্ত হননি। গ্রামবাসী বলছেন, করো’নাকে মূলত ঠেকিয়ে দিয়েছেন একদল প্রমিলা পাহাড়াদার। তারা মূলত লাঠি হাতেই দিনরাত পাহাড়া বসিয়ে গ্রামটিকে করো’না মুক্ত রেখেছেন।

এই চিখালার অবশ্য ‘দেশি মদ’ উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত ছিল। সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে গ্রামটি। এই অতিমারিতে ছোট্ট এই গ্রামটি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলেছে কঠোরভাবে। বাইরের গ্রামের কাউকে ঢুকতে যেমন দেয়া হয়নি তেমন নিজেরাও বাইরে গেছে অনেক কম।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী চিখালায় মোট ৮৭টি পরিবারের বাস। মোট জনসংখ্যা একহাজারের কম। মহিলা ও পুরুষের অনুপাত প্রায় সমান। গ্রামবাসীরা বলছেন, পুরুষদের কথা কেউ শোনে না, তাই নারীদের লা’ঠি হাতে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে নারীর হাতে মা’ইর খাওয়ার ভয়ে সবাই বাধ্য ছিল।

জানা গেছে, করো’না সং’ক্রম’ণ আ’টকাতে কোনও ব’হিরাগতকে এই গ্রামে ঢুকতে দেন না তারা। পাশাপাশি নিজেরাও গ্রাম ছেড়ে বার হন না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আনা-নেওয়ার জন্য গ্রামের মহিলারা দু’জন যুবককে নিয়োগ করেছেন। ওই দু’জনই গ্রামের বাইরে গিয়ে জিনিসপত্র কেনাকাটা করে সেগুলো বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেন।

বেতুল জেলার এই গ্রামটি প্রবেশের মূল রাস্তাটি বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করা। মহিলারা নিজেদের মধ্যেই সময় ভাগ করে দিনে ২৪ ঘণ্টা পাহারা দেন। অকারণে কাউকে ঘুরতে দেখলে লাঠির ঘায়ে তাদের বাড়ি পাঠাতেও পিছপা হন না। ভারতের গ্রামটির এই গল্প এখন ভারতীয় গণমাধ্যমের হট টপিক।