মুনিয়ার সুরতহাল রিপোর্টে যেসব বর্ণনা দিয়েছে পুলিশ

গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে কলেজ পড়ুয়া এক ত;রু;ণীর মৃ;;ত্যুর পেছনে কারো জ’;ড়ি;ত থাকার প্র’মাণ পাওয়া গেলে আ’ই;ন অনুযায়ী অবশ্যই বি’;চার হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

বুধবার রাজধানীতে সরকারি বাসায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আ;’ইন অনুযায়ী সব চলবে। যেই অ’;প;রা;ধী হোক, তাকে আ’ই;নের মুখোমুখি হবে। বি’চারের মুখোমুখি হতে হবে। এটি ত’দন্তাধীন রয়েছে। সেই ত’দ;ন্তের পরই আম’রা বলতে পারব।’

এদিকে গুলশানের সেই বাসা থেকে উ’;দ্ধা;র করা ত’;রু;ণীর ম;;রদে;হে গ;;লায় ফাঁ;;সের দাগ ছাড়া আর কোথাও আ;;ঘা;তের চি;হ্ন পা;য়নি পু’লিশ।

গুলশান থা’নার উপপরিদ’র্শক শামীম হোসেন, এএসআই আব্দুল রশিদ, গো’লাম মোস্তফা, জান্নাতুল ফেরদৌসসহ নুসরাত জাহান ও ফারহানা সুলতানার সহায়তায় মে’য়েটির ম;;রদে;হ ঝু;;ল;ন্ত অব;স্থা থেকে নামানো হয়। সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়, জি;হ্বা মু’খ থেকে বাইরে ছিল। গ;;লার বাম পাশে অর্ধচন্দ্রাকৃতির গ;ভী;র কালো দাগ দেখা যায়। হাত দুটি শ’রীরের স’ঙ্গে ল;ম্বাল;ম্বি অর্ধমু’;ষ্টি ছিল।

অ’পরদিকে মুনিয়ার লা;;শ উ;দ্ধারের ঘ’;টনা পর থেকে নানা র’হ;;স্যের জ’ন্ম দিয়েছে। গুলশানের লাখ টাকা ভাড়ার বাসায় ওই কলেজছা’ত্রী একাই থাকতেন। ঘ’ট;নার পর তার পরিবারের দা’য়ের করা মা’মলায় তাকে প্র’রো;চ;নার অ’ভি;যোগ আনা হয়েছে বসুন্ধ’রা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বি’;রু;দ্ধে। মা’মলা দা’য়েরের পর আনভীরের দেশত্যা’গে নি’ষে;ধা;জ্ঞা জা’রি করেছেন আ’দালত।

মুনিয়া নিজের জী’বন কেন শে’ষ করেছেন। নাকি অন্য কোনো কারণে তার মৃ;;ত্যু হয়েছে এমন নানা প্রশ্ন ঘুরে ফিরে এসেছে দিনভর। এ ঘ’টনায় বসুন্ধ’রা এমডিকে আ’;সা;মি করা হলেও এ পর্যন্ত তার পক্ষ থেকে গ’ণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য দেয়া হয়নি। বসুন্ধ’রা গ্রুপও এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি। পু’লিশ ও ত’দ;ন্ত সূত্র জানায়, গুলশানে মুনিয়ার ভাড়া বাসার দেওয়ালে টানা;নো ছিল আনভীর ও মুনিয়ার যৌথ অনেক ছবি। ওই বাড়ির মালিক আয়োজিত ২৩শে এপ্রিলের ইফতার পার্টিতে তোলা মুনিয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্র’কাশ করেন বাড়ির মালিকের মে’য়ে।

ওই ছবি নজরে পড়ে সায়েম সোবহান আনভীরের মায়ের। মুনিয়ার বাসা থেকে জ’;ব্দ করা ডায়রিতে পাওয়া গেছে তার সর্বশে’ষ লেখা। ছয়টি ডায়রিতে নিজের ভালোবাসা, বি;ষা;দ ও য;;ন্ত্র;ণার কথা লিখেছেন মুনিয়া। উল্লেখ করেছেন ‘জীবনের চূড়ান্ত সি;দ্ধান্তের’। তারপরই সোমবার সন্ধ্যার পর গুলশান-২-এর ১২০ নম্বর রোডের ১৯ নম্বর বাড়ির ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার লা;;শ উ;দ্ধা;র করে পু’লিশ। এ ঘ’টনায় প্র;রো;চ;নার অ;ভি;যো;গে ওই দিন রাতে গুলশান থা’নায় মা’মলা করেছেন মুনিয়ার বড় বোন ব্যাংক কর্মক’র্তা নুসরাত জাহান।

মা’মলায় প্র’রো;চনার অ’ভি;যোগ আনা হয়েছে সায়েম সোবহান আনভীরের বি’;রু;দ্ধে। পু’লিশ ইতিমধ্যে ২৩শে এপ্রিল থেকে ২৬শে এপ্রিল পর্যন্ত সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। জি’জ্ঞা;সাবা’দ করেছে ওই বাড়ির নি;রা;প;ত্তাকর্মী, বাড়ির মালিক, মালিকের জামাতা ইব্রাহিম আহমেদ রিপন ও তার স্ত্রী’’কে। জি’জ্ঞা;সাবা’দ করা হবে মডেল হিসেবে পরিচিত ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে।

পু’লিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ চক্রবর্তী বলেন, ওই বাসায় আনভীরের যাতায়াত ছিল কিনা তা নিশ্চিত হতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অন্য কেউ ওই বাসায় ঘ’ট;নার আগে গিয়েছিল কিনা তাও ত’দন্ত করা হচ্ছে।

এ ছাড়াও নি;;হ;ত মুনিয়ার ম;য়না;ত’দন্ত প্রতিবেদন পেলেই তার মৃ;;ত্যুর বিষয়ে নিশ্চি;ত হওয়া যাবে। এই ঘ’ট;নায় আনভীর বা অন্য কারও প্র’রো;চনা;র প্র’মাণ পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। ডিসি সুদীপ চক্রবর্তী জানান, এ ঘ’ট;নার মা’মলার পরপরই সায়েম সোবহান যাতে দেশ ছা’ড়তে না পারেন এজন্য অ’ভিবাসন ক’র্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে অ’নু;রো;ধ করা হয়েছে।

সেইস’ঙ্গে দেশত্যা’গে নি’ষে;ধা;জ্ঞা আ;রো;পের জন্য আ’দালতের অ’নুমতি চাওয়া হয়েছে। এদিকে, গুলশান-২-এর ১২০ নম্বর রোডের ১৯ নম্বর বাড়িতে গেলে কথা হয় নি;রা;প;ত্তার;ক্ষী আব্দুল কুদ্দুসের স’ঙ্গে। তিনি জানান, গত ২২, ২৩শে এপ্রিল পরপর দু’দিন ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন সায়েম সোবহান আনভীর।

ফ্ল্যাট বি-৩ থাকতেন মুনিয়া। বাসাটি গত ১লা মা’র্চ দুই বছরের জন্য ভাড়া নেন মুনিয়া। মুনিয়ার নামে ভা;ড়ার চু’ক্তি থাকলেও সংশ্লিষ্টরা জানান বাড়ির মালিকের মে’য়ের জামাতা ইব্রাহিমের কাছে প্রতি মাসে ভাড়া ১ লাখ ও সার্ভিস চার্জ ১১ হাজারসহ ১ লাখ ১১ হাজার টাকা অন্য কেউ পাঠাতেন।

মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান জানান, তার বোন মিরপুর ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ঢাকায় থাকাকালেই আনভীরের স’ঙ্গে প’রিচয়। প’রিচয় থেকে প্রায়ই ফোনে কথা হতো। দেখা হতো বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে।

২০১৯ সালে স্ত্রী’’ প’রিচয়ে বনানীর একটি বাসা ভাড়া নিয়ে মুনিয়াকে নিয়ে থাকতেন আনভীর। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আনভীরের পরিবার বিষয়টি জানতে পারে। ওই সময় ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে দিয়ে মুনিয়াকে নিজেদের বাসায় ডেকে নেন আনভীরের মা।