এবার বসুন্ধরার এমডি আনভীরকে নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিলো হাইকোর্ট

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের হাইকোর্টে আগাম জা;মি;ন চেয়ে করা আবেদনের শুনানি হচ্ছে না। কোর্ট সূত্র জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আগাম জা;মিন শুনানি বন্ধ থাকবে।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ জা;মিন আবেদনটি শুনানি হওয়ার কথা ছিল। আদালতের শুরুতেই বিচারপতি মামনুন রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন চলা অবস্থায় আমরা কোনো আগাম জা;মিন শুনবো না।

মোসারাত জাহান মুনিয়া নামে এক ত;রুণীর আ;ত্মহ;;ত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভি;যোগে দায়ের হওয়া মামলার আ;সা;মি সায়েম সোবহান আনভীর আনভীরের পক্ষে আদালতে শুনানি করার কথা ছিল ফৌজদারি আ;ইন বিশেষজ্ঞ বিচারপতি (অব.) মনসুরুল হক চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও সিনিয়র আইনজীবী এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিনের।

গত ২৬ এপ্রিল (সোমবার) রাতে গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে ওই ত;রুণীর লা;;শ উ;দ্ধারের পর দায়ের হওয়া মামলায় আ;সা;মি করা হয় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে। নিয়ম অনুযায়ী আগাম জা;মিন নিতে হলে আ;সা;মিকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ওই বেঞ্চে আগাম জা;মি;ন শুনানি বন্ধ রাখা হয়েছে।

গুলশান থানায় মুনিয়ার বোন নুসরাত বাদী হয়ে ঘটনারতিন রাতেই মামলাটি করেন। মামলায় অভি;যোগ করা হয়েছে, এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয়ের পর ২০১৯ সালে আনভীর মুনিয়াকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বনানীতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আনভীরের পরিবার মুনিয়ার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতে পারে। তখন আমার বোনকে (মুনিয়াকে) আনভীরের জীবন থেকে সরে যাওয়ার জন্য হু;;ম;কি দেন তার মা।

এ ঘটনার পর আনভীর মুনিয়াকে কৌ;শলে কুমিল্লায় পাঠিয়ে দেন এবং পরে বিয়ে করবেন বলে আ;শ্বাস দেন। গত মাসের (মার্চ) ১ তারিখে গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাসার বি/৩ ফ্যাটটি ভাড়া নেন আনভীর। ১ মার্চ থেকে মুনিয়া সেই ফ্ল্যাটেই ছিলেন এবং আনভীর মাঝে মাঝে ওই ফ্ল্যাটে আসা যাওয়া করতেন।

গত শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) ফ্ল্যাট মালিকের বাসায় ইফতার পার্টিতে গিয়ে মুনিয়া ছবি তোলেন। ফ্ল্যাট মালিকের স্ত্রী ফেসবুকে সেই ছবি পোস্ট করলে সেটি আনভীরের পরিবারের একজন দেখে ফেলেন এবং আনভীরকে জানান। বিষয়টি নিয়ে আনভীর মুনিয়াকে ব;কাঝ;কা করেন এবং হু;;ম;কি দেন। ২৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে মুনিয়া তার মোবাইল নম্বর থেকে নুসরাতকে ফোন করে কা;ন্নাকা;টি শুরু করেন। তিনি বলেন, আনভীর আমাকে বিয়ে করবে না, সে শুধু আমাকে ভো;গ করেছে। এছাড়া আমাকে সে ‘মনে রাখিস তোকে আমি ছা;ড়ব না’ বলে হু;;ম;কি দিয়েছে।

এজাহারে বলা হয়েছে, মুনিয়া নুসরাতের কাছে চিৎ;কা;র করে বলেন, যেকোনো সময় আমার বড় ধরনের দু;;র্ঘ;ট;না ঘটতে পারে। তোমরা তা;ড়াতা;ড়ি ঢাকায় আসো।

মোসারাত জাহান মুনিয়া মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। সোমবার রাতে গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে তার ঝু;;ল;ন্ত ম;;রদে;হ উ;দ্ধা;র করে পুলিশ।

গুলশান থানা সূত্রে জানা যায়, মুনিয়া নি;;হ;ত হওয়ার ঘট;নায় এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে জি;জ্ঞা;সাবা;দ করেছে পুলিশ। বাড়ির মালিক, মালিকের মেয়ের জা;মাইসহ বেশ কয়েকজনকে জি;জ্ঞা;সাবা;দ করে মামলা সংক্রা;ন্ত বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তারা। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করছে পুলিশ। এর সঙ্গে সং;শ্লিষ্টতা পেলেই অভি;যুক্ত আনভীরকে গ্রেফতারের সি;দ্ধান্ত নেবে পুলিশ।

মুনিয়া যে ফ্ল্যাটটিতে থাকতেন সেই ভবনের বেশকিছু সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও এরই মধ্যে সংগ্রহ করেছে পুলিশ। সেসব সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ওই ফ্ল্যাটে সায়েম সোবহান আনভীরের যাতায়াতের প্রমাণ পেয়েছে তারা। তবে ঘ;টনার দিন বা এর আগের দিন মুনিয়ার ফ্ল্যাটে আনভীরের যাতায়াতের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এছাড়া সিসিটিভি ফুটেজে এই দুইদিন স;ন্দে;হজ;নক কারও যাতায়াত ওই বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাটের আশপাশে পাওয়া যায়নি।