মুনিয়ার ডায়েরির ৯২তম পৃষ্ঠায় চা’ঞ্চল্যকর ত’থ্য

বুধবার রাজধানীতে সরকারি বাসায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আ’ইন অনুযায়ী সব চলবে। যেই অ’পরাধী হোক, তাকে আ’ইনের মুখোমুখি হবে। বি’চারের মুখোমুখি হতে হবে। এটি ত’দন্তাধীন রয়েছে। সেই ত’দন্তের পরই আম’রা বলতে পারব।’

এদিকে গুলশানের সেই বাসা থেকে উ’দ্ধার করা ত’রুণীর ম’রদেহে গলায় ফাঁ’সের দাগ ছাড়া আর কোথাও আ;ঘাতের চি’হ্ন পায়নি পু’লিশ। গুলশান থা’নার উপপরিদ’র্শক শামীম হোসেন,এএসআই আব্দুল রশিদ, গো’লাম মোস্তফা, জান্নাতুল ফেরদৌসসহ নুসরাত জাহান ও ফারহানা সুলতানার সহায়তায় মে’য়েটির ম’র’দেহ ঝু’লন্ত অবস্থা থেকে নামানো হয়।

সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়, জি’হ্বা মু’খ থেকে বাইরে ছিল। গলার বাম পাশে অর্ধচন্দ্রাকৃতির গভীর কালো দাগ দেখা যায়। হাত দুটি শ’রীরের স’ঙ্গে লম্বালম্বি অর্ধমু’ষ্টি ছিল।অ’পরদিকে মুনিয়ার লা’শ উ’দ্ধারের ঘ’টনা পর থেকে নানা র’হস্যের জ’ন্ম দিয়েছে। গুলশানের লাখ টাকা ভাড়ার বাসায় ওই কলেজছা’ত্রী একাই থাকতেন। ঘ’টনার পর তার পরিবারের দা’য়ের করা মা’মলায় তাকে প্র’রোচনার অ’ভিযোগ আনা হয়েছে বসুন্ধ’রা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বি’রুদ্ধে।

মা’মলা দা’য়েরের পর আনভীরের দেশত্যা’গে নি’ষেধাজ্ঞা জা’রি করেছেন আ’দালত। ঘ’টনার পর আনভীরের স’ঙ্গে মুনিয়ার অন্তর’ঙ্গ ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছ’ড়িয়ে পড়ে। এতে নানামুখী প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ওই ত’রুণীর স’ঙ্গে আনভীরের কি স’ম্পর্ক ছিল।

মুনিয়া নিজের জী’বন কেন শে’ষ করেছেন। নাকি অন্য কোনো কারণে তার মৃ’ত্যু হয়েছে এমন নানা প্রশ্ন ঘুরে ফিরে এসেছে দিনভর। এ ঘ’টনায় বসুন্ধ’রা এমডিকে আ’সামি করা হলেও এ পর্যন্ত তার পক্ষ থেকে গ’ণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য দেয়া হয়নি।

বসুন্ধ’রা গ্রুপও এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি। পু’লিশ ও ত’দন্ত সূত্র জানায়, গুলশানে মুনিয়ার ভাড়া বাসার দেওয়ালে টানানো ছিল আনভীর ও মুনিয়ার যৌথ অনেক ছবি। ওই বাড়ির মালিক আয়োজিত ২৩শে এপ্রিলের ইফতার পার্টিতে তোলা মুনিয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্র’কাশ করেন বাড়ির মালিকের মে’য়ে।

ওই ছবি নজরে পড়ে সায়েম সোবহান আনভীরের মায়ের। মুনিয়ার বাসা থেকে জ’ব্দ করা ডায়রিতে পাওয়া গেছে তার সর্বশে’ষ লেখা। ছয়টি ডায়রিতে নিজের ভালোবাসা, বি’ষাদ ও য’ন্ত্রণার কথা লিখেছেন মুনিয়া। উল্লেখ করেছেন ‘জীবনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের’।

তারপরই সোমবার সন্ধ্যার পর গুলশান-২-এর ১২০ নম্বর রোডের ১৯ নম্বর বাড়ির ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার লা’শ উ’দ্ধার করে পু’লিশ। এ ঘ’টনায় প্র’রোচনার অ’ভিযোগে ওই দিন রাতে গুলশান থা’নায় মা’মলা করেছেন মুনিয়ার বড় বোন ব্যাংক কর্মক’র্তা নুসরাত জাহান।