বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ঠিকানা এখন বাঁশে ঘেরা মাটির বিছানা

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ম;য়;নাত;দন্ত শেষে মোসারাত জাহান মুনিয়ার ম;;রদে;হ নেয়া হয় তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। সেখানে টমছম ব্রিজ ক;ব;রস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে স;মা;হিত করা হয়েছে তাকে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে স;মা;হিত করা হয়।

এর আগে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর গুলশান-২ এলাকার একটি বি;লাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে গ;লা;য় ওড়;না প্যাঁ;;চা;নো অবস্থায় মোসারাত জাহান মুনিয়ার ম;;রদে;হ উ;দ্ধা;র করে পুলিশ। এ ঘট;নায় আ;ত্মহ;;ত্যার প্ররো;চনার অ;ভি;যোগে মুনিয়ার বড় বোন মামলা করেন। মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে আ;সা;মি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মোসারাত জাহান (২১) মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। দুই বছর আগে মা;মলার আ;সা;মি সায়েম সোবহান আনভীরের (৪২) সঙ্গে মোসারাতের পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকে তারা বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় দেখা করতেন এবং সব সময় মোবাইলে কথা বলতেন। এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

২০১৯ সালে মোসারাতকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে আ;সা;মি রাজধানীর বনানীতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। সেখানে তারা বসবাস করতে শুরু করেন। ২০২০ সালে আ;সা;মির পরিবার এক নারীর মাধ্যমে এই প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারে। এরপর আ;সা;মির মা মোসারাতকে ডেকে ভ;;য়ভী;;তি দেখান এবং তাকে ঢাকা থেকে চলে যেতে বলেন। আ;সা;মি কৌ;শ;লে তার (বাদী নুসরাতের) বোনকে কুমিল্লায় পা;ঠিয়ে দেন এবং পরে বিয়ে করবেন বলে আশ্বা;স দেন।

সর্বশেষ গত ১ মার্চ মোসারাতকে প্ররোচিত করেন আ;সা;মি। তিনি বাসা ভাড়া নিতে বাদী নুসরাত ও তার স্বামীর পরিচয়পত্র নেন। ফুসলিয়ে তিনি মোসারাতকে ঢাকায় আনেন। তিনি গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কে বাসা (ফ্ল্যাট-বি-৩) ভাড়া নেন। ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে আ;সা;মি ও তার (বাদীর) বোনের স্বামী-স্ত্রীর মতো ছবি তুলে তা বাঁ;ধি;য়ে রাখা হয়।

আ;সা;মি বাসায় এলে কক্ষটি পরিপাটি করে রাখা হতো। বোনের মাধ্যমে মামলার বা;দী জানতে পারেন, আ;সা;মি তাকে বিয়ে করে বিদেশে স্থায়ী হবেন। কারণ, দেশে থাকলে আ;সা;মির মা–বাবা আ;সা;মিকে কিছু না করলেও তার বোনকে মে;;রে ফেলবেন। গত ১ মার্চ থেকে আ;সা;মি মাঝেমধ্যে ফ্ল্যাটে আসা-যাওয়া করতেন।

বাদী এজাহারে আরো বলেন, ২৩ এপ্রিল মোসারাত তাকে ফোন করেন। মোসারাত তাকে বলেছেন, আনভীর তাকে বকা দিয়ে বলেছেন, কেন তিনি (মোসারাত) ফ্ল্যাটের মালিকের বাসায় গিয়ে ইফতার করেছেন, ছবি তুলেছেন। ফ্ল্যাটের মালিকের স্ত্রী ফেসবুকে ছবি পোস্ট করেছেন। এ ছবি ‌পিয়াসা দেখেছেন। পিয়াসা মালিকের স্ত্রীর ফেসবুক বন্ধু। এখন পিয়াসা তার মাকে সবকিছু জানিয়ে দেবেন। তিনি (আ;সা;মি) দুবাই যাচ্ছেন, মোসারাত যেন কুমিল্লায় চলে যান। আ;সা;মির মা জানতে পারলে তাকে (মোসারাত) মে;;রে ফে;ল;বে;ন।

দুদিন পর ২৫ এপ্রিল মোসারাত তাকে ফোন করেন। ওই সময় তিনি কা;;ন্নাকা;টি করে বলেন, আনভীর তাকে বিয়ে করবেন না, শুধু ভোগ করেছেন। আ;সা;মিকে উ;দ্ধৃ;ত করে মোসারাত বলেন, আ;সা;মি তাকে বলেছেন, তিনি (মোসারাত) তার শ;;ত্রুর সঙ্গে দেখা করেছেন। মোসারাতকে তিনি ছাড়বেন না।

মোসারাত চিৎ;কা;র করে বলেন, আ;সা;মি তাকে ধোঁ;;কা দিয়েছেন। যেকোনো সময় তার বড় দু;;র্ঘ;ট;না ঘ;টে যেতে পারে। তারা (বা;দী নুসরাতের পরিবার) যেন দ্রুত ঢাকায় আসেন। নুসরাত তার আত্মীয়স্বজন নিয়ে বেলা দুইটার দিকে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় রওনা দেন। আসার পথে বারবার মোসারাতের ফোনে ফোন করেন কিন্তু তিনি আর ফোন ধরেননি।

গুলশানের বাসায় পৌঁছে দরজায় নক করলে ভেতর থেকে কোনো সা;ড়াশ;ব্দ না পেয়ে নিচে নেমে আসেন। তারা নি;রাপ;ত্তার;ক্ষীর কক্ষ থেকে বাসার ইন্টারকমে ফোন করেন। পরে ফ্ল্যাটের মালিকের নম্বরে ফোন দিলে মিস্ত্রি এনে তালা ভে;;ঙে ঘরে ঢোকার পরামর্শ দেন। মিস্ত্রি ডেকে তালা ভে;;ঙে ভেতরে ঢোকার পর তিনি দেখেন, তার বোন ওড়না পেঁ;চি;য়ে শোয়ার ঘরের সি;লিংয়ে ঝু;;লে আছেন।

এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, পুলিশ এসে ওড়না কেটে মোসারাতের মৃ;;তদে;হ নামায়। আলামত হিসেবে আ;সা;মির সঙ্গে ছবি, আ;সা;মির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে লেখা ডায়েরি ও তার ব্যবহৃত দুটি মুঠোফোন নিয়ে যায় পুলিশ।