সাবমেরিনের ৫৩ আরোহী বেঁচে আছেন: দাবি এক জনের স্ত্রী’র

ইন্দোনেশিয়ায় তিন ধ’রে নি’খোঁজ সাবমেরিনে আ;রোহীদের মৃ;;ত্যু বি’শ্বা’সই করতে পারছেন না স্বজনরা। তারা এখনও আশা করছেন আ;রোহীরা এখনও বেঁ’চে আছেন। নৌ কর্মক’র্তারা বলছেন, শনিবার ভোরেই ৫৩ জন ক্রুর অক্সিজেন সরবরাহ শে’ষ হয়েছে। তাদের বেঁ’চে থাকার কোনো সম্ভাবনাই নেই।

কারণ, এদিকে কেআরআই নানগালা-৪০২ নামের ওই সাবমেরিনটিতে থাকা ৫৩ জন ত্রু সদস্যের বেঁ’চে থাকার কোনো চি;হ্ন পাওয়া যাচ্ছে না। সেখানে নাবিকদের প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত টিকে থাকার মতো অক্সিজেন ছিল সাবমেরিনটিতে।

সাবমেরিনে থাকা আরোহীর এক স্ত্রী’ বারদা আসমা’রা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, তিনি এখনও আশাবাদী যে তার স্বামী বেঁ’চে ছিলেন। তিনি বলছেন, এখনও কেউ নিশ্চিত নয় যে আরো;হীরা পরলোগমন করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল আম’রা প্রা’র্থনা করা ব’ন্ধ করি না। আশা করি সবাই নি’রাপদে এবং সুস্বাস্থ্যের সাথে ঘরে ফিরে আসবেন।

দেশটির নৌবা’হিনী প্রধান ইউদো মা’রগোনো বলেছেন, উ’দ্ধারকর্মীরা টর্পেডো স্ট্রেইটনার ডিভাইসের অংশ, একটি গ্রিজ বোতল যা পেরিস্কোপে তেল ব্যবহার করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল এমন বেশ কয়েকটি জিনিস পেয়েছিল।

তিনি বলেন, সেগুলো ডুবে যাওয়া সাবমেরিন থেকে পাওয়া গেছে বলে বি’শ্বা’সযোগ্য করা হচ্ছে। কিন্তু সেখান থেকে জীবনের কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। মা’রগানো জানান, একটি স্ক্যানমেশিন সাবমেরিনটি ৮৫০ মিটার (২ হাজার ৮৮৮ ফুট) নিচে স’নাক্ত করতে পেরেছিল। যেখানে বেঁ’চে থাকা অসম্ভব।

সাবমেরিনটি ৫০০ মিটার (১ হাজার ৬৪০ ফুট) পর্যন্ত গভীরতা দ’ণ্ডমান থাকার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। যদি এটি বি;;স্ফো;র;ণ হয় তবে এটি টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। ৩০০ মিটার থেকে ৪০০ মিটার।

৪০০ মিটার থেকে ৫০০ মিটার অব;ধি নেমে গেলে কিছু অংশে ধীরে ধীরে এই ফাটলগুলো ঘ’টেছি;ল। যদি কোনও বি;;স্ফো;র;ণ ঘ’টে তবে তা বোঝাও সম্ভব। এদিকে দেশটির সাম’রিক বা’হিনী জানিয়েছে, তারা গ;ভীরে যাওয়া জাহাজটি উ’দ্ধারের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সিঙ্গাপুরের এস রাজরতনম স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের গবেষণা সহযোগী ও নৌ বিশেষজ্ঞ কলিন কোহ বলেছেন, সাবমেরিনটি এমন গভী;রতায় পাওয়া গেছে যা নৌকার ক্রা’শ গভী;রতার চেয়ে অনেক গভীরে। এজন্য ধারণা করা হচ্ছে কেউ বেঁ’চে উঠবে না।

গত বুধবার (২১ এপ্রিল) ভোরে জার্মানির তৈরি কেআরআই নাংগালা-৪০২ সাবমেরিনটি বালি উপকূল থেকে প্রায় ৬০ মাইল (৯৬ কিমি) দূরের পানিতে নি’খোঁজ হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেআরআই নাংগালা-৪০২ ইন্দোনেশিয়ার পাঁচটি সাবমেরিনের মধ্যে একটি। রয়টার্স জানায়, এটি ১৯৭০ এর দশকের শেষের দিকে তৈরি করা হয়েছিল। মাঝখানে মেরামতের জন্য এটিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। দুই বছর পর ২০১২ সালে এটির মেরামত কাজ শে’ষ হয়।।